হবিগঞ্জ লাখাই সড়কের বুল্লাবাজার অংশ হইতে গুনিপুর সড়কের সিংহগ্রাম অংশের পূনঃ নির্মান কাজ শেষ হতে না হতেই সিংহগ্রাম শাহী ঈদগাহ মাঠ হইতে পশ্চিম সিংহগ্রাম পর্যন্ত সড়কের স্থানে স্থানে ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়ছে।
সড়কের পাশের গাইড ওয়াল এ যথানিয়মে মাটি ভরাট না করে এবং মাটি না চাপিয়ে নামকাওয়াস্তে ড্রেসিং করে সড়ক নির্মানের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান বৃষ্টিপাতে গাইডওয়াল এর মাটি দেবে যাওয়ায় বর্তমানে রাস্তার এজিং সহ সড়কের অংশবিশেষ ধ্বসে পড়ছে। সেইসাথে সড়কের স্থানে স্থানে পার্শ্বদেশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় ভারী বৃষ্টিপাত হলে সড়কের এ অংশ ধ্বসে পড়তে পারে। এদিকে সড়কের এ উল্লেখিত অংশে ফাটল ও মাটি দেবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এমতাবস্থায় সড়কের এ অংশ পূনঃ মেরামত করা অতীব জরুরী।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর – লাখাই সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের ঠিকাদার হারিছ উদ্দীন নামে একজন ঠিকাদার সড়কের বুল্লাবাজার হইতে সিংহগ্রাম তোতামিয়া মক্তব পর্যন্ত অংশের পুনঃ নির্মান কাজ পায়।
ঠিকাদার সড়কের আংশিকভাবে সিসি ঢালাই ও আংশিক কার্পেটিং মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করে। এরই মধ্যে কার্পেটিং অংশের স্থানে স্থানে ধ্বসে পড়ছে।
সূত্রে আরোও জানা যায়, ১ কোটি টাকারও বেশী প্রাক্কলিত ব্যয়ে সড়কের কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিংহগ্রাম এর ইজিবাইক চালক বেলন মিয়া জানান, ঠিকাদার গাইডওয়াল ও সড়কের পাশে মাটি ফেলে তা ভালোভাবে ড্রেসিং ও না বসিয়ে যেনতেন ভাবে কাজ করায় সামান্য বৃষ্টিতেই তা ধ্বসে যাচ্ছে।কাজ করার সময় আমরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালেও তা আমলে নেওয়া হয়নি।
এ ব্যপারে সিংহগ্রাম এর আব্দুল আওয়াল জানান, নির্মান কাজ চলাকালীন অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হচ্ছে দেখে সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা এলজিইডি দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও কোন ফলোদয় হয়নি। ঠিকাদার দায়সাড়া ভাবে কাজ করে চলে গেছে।
কোটি টাকারও বেশী ব্যয়ে নির্মিত সড়কের এমন বেহাল অবস্থায় পতিত হচ্ছে দেখে এ রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা অসন্তোষ প্রকাশ করছে।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শাকিল আহমেদ এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে জানান, এ সড়কের এই অবস্থা জানানোয় ভাল হয়েছে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে মেরামতের ব্যবস্থা করছি। তিনি আরোও জানান বৃষ্টিপাত হওয়ায় মাটি সড়ে গিয়ে এমনটি হয়ে থাকতে পারে।