জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লাখাইয়ে মৌসুমী শাকসবজি চাষে স্বাবলম্বী বর্গাচাষী জামাল

লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের পূর্ব সিংহগ্রাম এর বর্গাচাষী মোঃ জামাল উদ্দিন দীর্ঘ দিন যাবৎ মৌসুমী বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করে আসছেন। নিজের কোন জমিজমা না থাকায় অন্যের জমি বর্গা ও পত্তন নিয়ে সব্জি চাষ করে আসছেন মোঃ জামাল উদ্দিন।

এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে জামাল তার ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী ব্যাক্ত করেন।জামাল উদ্দিন অনেকদিন পূর্বে ভাগ্যান্বেষণে বিদেশ গমন করেন। সেখানে থেকে যা আয় রোজগার করেন তা দিয়ে দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু বিধিবাম হওয়ায় ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কপর্দক শুন্য হয়ে পড়েন। অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় পড়েও সে মনোবল না হারিয়ে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করেন।স্থানীয় কৃষকদের নিকট থেকে জমি বর্গা ও পত্তন নিয়ে এতে বিভিন্নধরনের মৌসুমী সবজি যেমন শশা, ভুট্টা, বরবটি, খিরা, মুলা, পিয়ারা, কাঁঠাল চাষ করে আসছেন। এতে তার সফলতা আসতে থাকে। জামাল আরো জানান, ২০১২ সাল থেকে এই সব্জি চাষ করে আমি আজ স্বাবলম্বী। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছি। এই সব্জি চাষের মাধ্যমে আমার ৭ সদস্যের পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। আমার ৪ ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছি। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। তিনি আরোও জানান, দীর্ঘ ১০ বছরের প্রবাস জীবনে যা করতে পারিনি তা ১০ বছরে সব্জি চাষে করতে পেরেছি। চলতি বছরেও আমি ৩ বিঘা জমি পত্তন নিয়ে খিরা চাষ করি।চাষাবাদে মোট খরচ হয় ১৩ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন খুবই ভাল হয়েছে। বাজারে খিরার মূল্য বেশ চড়া। পৌষ মাসের শেষ দিকে খিরা রোপন করে চৈত্র মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছ ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার মতো। এতে আমার লাভ হয়েছে ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা।বর্তমানে আমি শশা চাষের উদ্যোগ নিচ্ছি। তিনি জানান এক সময় আমার নিজস্ব কোন জমি ছিলনা। এবছর আমি ১ লক্ষ টাকাশ একখণ্ড জমিও ক্রয় করেছি।

এ ব্যাপরে উপজেলা কৃষি অফিসার শাকিল খন্দকার এর সাথে আলাপকালে জানান, আমরা ধানের পাশাপাশি সব্জি ও ফলমূল চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগীতা করে আসছি। কৃষক জামাল মিয়া এ বছর খিরা চাষে বেশ সফলতা এনেছে। আমরা তাকে আরোও সহযোগীতা ও তাকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।