জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লোকড়ায় দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করলেন এমপি আবু জাহির

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া গ্রামে দুইপক্ষের মধ্যে চলমান দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। এতে রক্তক্ষয়ী ঘটনা থেকে রক্ষা পেল লোকড়া গ্রামবাসী।

শনিবার স্থানীয় বামকান্দি বাজারে এমপি আবু জাহির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে বিরোধটি নিষ্পত্তি করা হয়। এতে ‘বার’ পঞ্চায়েতের সকল পর্যায়ের মুরুব্বীয়ান ও জনপ্রতিনিধিগণসহ এলাকাবাসী স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, জালাল মিয়া ও তার লোকজনের সঙ্গে লোকড়া গ্রামবাসীর জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এতে দুইপক্ষে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এই পরিস্থিতি থেকে গ্রামবাসীকে উত্তোরণের স্বার্থে দুইপক্ষের লোকজনকে একে অন্যের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে হাস্যোজ্জ্বল পরিস্থিতি সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সম্মানজনকভাবে বিরোধটি নিষ্পত্তি করেন এমপি আবু জাহির।

এ সময় তিনি উপস্থিত দুইপক্ষসহ এলাকাবাসী যেন ভবিষ্যতে একে অন্যের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিকে বড় বিরোধে রূপান্তরিত না করেন সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ জানান।

এমপি আবু জাহির বলেন, হবিগঞ্জের পশ্চিম অঞ্চলে সামাজিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এই ঐতিহ্যের ধারা রক্ষার স্বার্থে সকলকে অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে দূরে থাকতে হবে। তাহলে এলাকায় মামলা-মোকদ্দমা কমার পাশাপাশি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

স্থানীয়রা জানান, দুইটিপক্ষের মধ্যে এই বিরোধে লোকড়া গ্রামে অশান্তি বিরাজ করছিল। এমপি আবু জাহির এর মাধ্যমে বিরোধটি সম্মানজনকভাবে সমাধাণ হওয়ায় গ্রামবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তারা এমপি আবু জাহির এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

সালিশে অ্যাডভোকেট আফীল উদ্দিনের নেতৃত্বে আরও দুইজন আইনজীবী ও লোকড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রইছ মিয়া চৌধুরী, আক্রাম আলী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আব্বাসের মাধ্যমে একটি টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে।

তারা উভয়পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সার্বিক অবস্থা জানাবেন এবং জালাল মিয়ার বন্ধ থাকা তিনটি দোকান খোলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সালিশে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, বার পঞ্চায়েতের সভাপতি রইছ মিয়া।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান রইছ মিয়া চৌধুরী, আহছান উল্লাহ, আরব আলী, আক্রাম আলী, জাহির মিয়া মাস্টার, বরকত আলী, আব্দুর রহমান, আজদু মিয়া, ফরহাদ আহমেদ আব্বাস, হাজী জিতু মিয়া, কাউছার মিয়া, মোঃ জিতু মিয়া ।

এছাড়াও বার পঞ্চায়েতের সকল মুরুব্বী এবং যুবকরা উপস্থিত ছিলেন।