ল্যাপটপ হলো একধরনের বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা দেখতে অনেকটা ঝিনুক আকৃতির। ঝিনুকের মত এর ডিসপ্লের পার্টটা উপরের দিকে খুলে তারপর কাজ করতে হয়।
ল্যাপটপ নাম একটি কারণ হলো এটি যে কোন স্থানে যে কোন প্রজিশনে হাটুর উপর রেখে বা টেবিলে রেখে, বালিশে রেখে, শোয়ার সময় লেপ বা চাদরের উপরে রেখে ও কাজ করা যায়।
আমরা যারা ডেক্সটপ সমন্ধে জানি তারা অবশ্যই জানি যে একটি ডেক্সটপ দিয়ে লেখালেখি, হিসাব করা, ভিডিও দেখা, অডিও গান শুনা, ইন্টারনেট চালানো, ছবি ইডিট করা, প্রোগামিং করা ইত্যাদিসহ আরো অনেক কাজ করা যায়।
এই কাজ গুলো করার জন্য একটি ডেক্সটপের দরকার হয় আলাদা আলাদা বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের। যেমন: গান শুনার জন্য স্পিকার, ভিডিও দেখার জন্য মনিটর, লেখালেখি করার জন্য কিবোর্ড, ইত্যাদি সবগুলো ডিভাইস বা যন্ত্রের সমন্বয়েই একটি ডেক্সটপ গঠিত।
তবে ল্যাপটপ হলো এই সবগুলো ডিভাইস একত্রিত করে একটি পেকেজ ডিভাইস।
ল্যাপটপ একটি ছোট ডিভাইস এবং এই ছোট্ট ডিভাইসটিতেই একই সাথে আপনি পাবেন মনিটর, কিবোর্ড, মাউস, স্পিকার, মাইক্রোফোন, ওয়েবক্যাম এছাড়াও আরো অনেক কিছু।
ল্যাপটপের আরো বড় একটি সুবিধা হলো এটি বিদ্যুৎ ছাড়াও বেশ কিছুক্ষণ চলে এটার মধ্যে থাকা ব্যাটারির মাধ্যমে। তবে হ্যা কাজ করার দিক দিয়ে ল্যাপটপ এবং ডেক্সটেপের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
আপনি একটি ডেক্সটপ ব্যবহার করে যে যে কাজ করতে পারবেন ঠিক একই কাজগুলো আপনি একটি ল্যাপটর ব্যবহার করেও করতে পারবেন।
১৯৬৮ সালে সর্ব প্রথম বহনযোগ্য ব্যাক্তিগত কম্পিউটার তৈরি হয় এবং তা বাজারে আসে ১৯৭১ সালে।
তবে প্রথম দিকে এই ধরনের কম্পিউটার গুলো শুধু মাত্র বিশেষ কাজে ব্যবহার করা হতো। যেমন: সেনাবাহিনিতে সেনারদের জন্য, গবেষনা বা হিসাব বিজ্ঞানের কাজে। যা আসতে আসতে আজকের এই আধুনিক ল্যাপটপে রুপান্তর হয়।
সেই সময়ের ল্যাপটপের তুলনায় আজকের ল্যাপটপগুলো অনেক বেশি ছোট , হালকা, সহজে বহনযোগ্য, সস্তা, ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ও হয়েছে।
তাই বর্তমানে ব্যাক্তিগত কম্পিউটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহারিত কম্পিউটার হচ্ছে ল্যাপটপ।
বাংলাদেশে বর্তমানে ল্যাপটপ এর মূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালেই রয়েছে। ১৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ্ টাকার অধিক দামের ল্যাপটপ ও রয়েছে। এসব ল্যাপটপ আপনি লোকাল মার্কেট ছাড়াও অনলাইন শপগুলোতে পাবেন।
তথ্যসূত্রঃ Techradar