হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা চলতি বছর বিআর- ২২ ধানের বীজ ক্রয় করে প্রতারণা শিকার হয়েছেন চার কৃষকের উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , গত চলতি বছর ভাদ্র মাসে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নুরপুর ইউনিয়নে শাহজীবাজার ( সুতাং বাজার ) এলাকায় মেসার্স সুতাং ট্রেডার্স এর প্রোঃ শেখ সারোয়ার পলাশ দোকান থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর বিউকে সিলেট কেন্দ্রের ২০২৪ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর বস্তায় প্যাকিং করা বিআর- ২২ ভালো জাতের ধানের বীজ বলে দোকানের মালিক । উক্ত দোকানদার কথার উপর বিশ্বাস করে চারজন কৃষক প্রতি কেজি ৫৫ টাকা ধরে প্রতি ব্যাগে ১০ কেজি বস্তা হিসেবে ৯ ব্যাগ ক্রয় করে নেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নুরপুর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের হাজী আব্দুল সামাদ এর ছেলে মোঃ হিরাজ মিয়া (৬০) ও একই গ্রামের মৃত জহুর আলী ছেলে মোঃ সোহেল মিয়া (৫৮) সহ পার্শবর্তী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কান্দি গাঁও গ্রামের মৃত হাসু মিয়া ছেলে মোঃ নুর আলী (৫৫) ও একই গ্রামের মৃত শুকুর আলী ছেলে মোঃ আব্দুল নুর কাছে বিআর – ২২ বীজ ধান বিক্রি করে ।
ক্ষতি গ্রস্থ হওয়া চারজন কৃষক জানান, উপজেলা নুরপুর ইউনিয়নে নোয়াহাটি উত্তর পাশে দক্ষিণ নুরপুর মৌজায় চাইল্লা বিলে প্রায় ২০ একর কৃষি জমিতে বিআর – ২২ বীজ ধান রোপণ করি। এমতাবস্থায় বিআর- ২২ বীজ ধান রোপণ করার পর চলতি মৌসুমে দেখা যায় , উক্ত বিআর- ২২ ধান বীজ উন্নত মানের নয় । বর্তমান চলতি অগ্রহায়ণ মাসে কৃষি জমিতে ধান কাটার মৌসুম। এদিকে আশপাশের সকল কৃষি জমিতে ধান কাটা শুরু হলেও আমাদের ২০ একর কৃষি জমিতে এখন পর্যন্ত বিআর – ২২ ধানের শীষ গজায় নি ।
কৃষকরা আরো বলেন , এ কৃষি জমিতে প্রতি বছর একরে ২০ থেকে ২২ মণ ধান উৎপাদন হয়ে আসছে । বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর বিআর- ২২ বীজ ধান রোপণ করে প্রায় ৪ শ মণ ধান প্রতারণার শিকার হয়ে মাথায় হাত দিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ছে । এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে জীবিকা চলবে দূর চিন্তায় পড়েছে কৃষক ।
কৃষকরা ক্ষতি পূরণ ও সুবিচার পাওয়ার জন্য সোমবার ( ১৮ নভেম্বর ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন ।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন , চারজন কৃষক বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর পরামর্শ করে কয়েক জন তদন্ত কমিটি মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।