২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৭:২৭

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

শায়েস্তাগঞ্জে পিক-আপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত। আহত একজন

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে এক পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে কাঁঠাল বোঝাই পিক-আপের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বানিয়াচংয়ের গাড়ি চালক শিপলু মিয়া নিহত হয়েছেন।আহত হয়েছেন সাথে সাথে একজন।

পরে পুলিশ এসে গাড়িসহ সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এবং দূর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি পুলিশ হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়,ঢাকা সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই পুরাসুন্ধা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক পথচারীকে বাচাঁতে গিয়ে কাঁঠাল ভর্তী পিকআপ ভ্যানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে চলে গিয়ে এই দূর্ঘটনার শিকার হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই প্রান হারাণ গাড়ি চালক ও আহত হয়েছেন সাথে থাকা অপরজন।
নিহত চালক গাড়ি হলো হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বাসিন্দা।
তিনি একই জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কাজীমহল্লায় বিয়ে করে দীর্ঘদিন ধরে শশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত শিপলু মিয়া(৪০)
আলাউদ্দিন মিয়ার পুত্র।
এবং আহত আব্দুল হামিদ মিয়া একই উপজেলার ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের সাগরদীঘির পাড়ের বাসিন্দা।
১১জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িসহ তাদেরকে উদ্ধার করেন।
এব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)তৈমুর ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,শায়েস্তাগঞ্জ অভিমুখী দ্রুতগামী একটি পিকআপ ভ্যান ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পুরাসুন্ধা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একজন পথচারীকে বাচাঁতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই গাড়ি চালক শিপলু মিয়া মারা যান এবং গাড়ির সাথে থাকা অপরজন গুরুতর আহত হন।
পরে পুলিশ গিয়ে গাড়িসহ তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এবং চালক শিপলু মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এছাড়াও দূর্ঘটনা কবলিত পিকআপ গাড়িটি শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে জানান তিনি।
উল্লেখ্য,
গাড়ির মালিক জুলহাস মিয়া গত ৩০জুন মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ধান ক্রয় করতে গিয়ে নগদ ৯লক্ষ টাকাসহ দুপুর ১২টার দিকে হাওরের মধ্যে পড়ে নিখোঁজ হন।
পরদিন ১লা জুলাই ভোরে এই হাওর থেকে থানা পুলিশ জুলহাস মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করেন পুলিশ।
এই ঘটনায় জুলহাস মিয়ার স্রী বাদী হয়ে ঐ রাতেই রাজনগর থানায় সেখানকার দালালদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেন।
অন্যদিকে গাড়ির মালিক জুলহাস মিয়াকে হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় ময়নাতদন্তের কাজ শেষ হয়নি।
পর দিন ২রা জুলাই জুলহাস মিয়ার ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করে তার এই গাড়িটি দিয়ে ঐ চালক শিপলু মিয়া লাশটি বাড়িতে নিয়ে আসে এবং দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
আজকে দূর্ঘটনায় চালক শিপলু মিয়ার নিহত হওয়ার খবরটি বানিয়াচংয়ে জানাজানি হয়ে পড়লে অনেকেই বলেন,এই গাড়ির মালিকের মৃত্যুর ১০দিন পর এভাবেই চালকের মৃত্যু হওয়ায় অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেন।
একটি পরিবারের শোক কাটাতে না কাটাতেই এই পরিবারের পাশে থাকার মানুষটিও চলে গিয়ে তার পরিবারসহ দু’টি পরিবারের লোকজন শোকের সাগরে ভাসতে হলো।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে নিহত গাড়ি চালক শিপলু মিয়ার স্রী ও দুই শ্যালক বানিয়াচং থেকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন।
রাত ১১টায় এই রিপোর্ট লেখা কালীন সময়ে লাশটি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে রয়েছে বলে জানান হাসপাতালে থাকা লোকজন।