হবিগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় নদ- নদী , খাল-বিল ও জলাশয়ে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ । একসময় দেশী ১৩১ প্রজাতির মাছের প্রাচুর্য ছিল শায়েস্তাগঞ্জে মৎস্য আড়ৎ বিক্রি হতো । কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবত খাল-বিল বরাটে পানি নিক্সশন হয় না । তবে নদ- নদী, খাল-বিল, জলাশয় খনন না হওয়ায় এর নাব্যতা হারিয়েছে
সেই সাথে হ্রাসপ্রাপ্ত হচ্ছে দেশী প্রজাতির মৎস্যের প্রজনন ও উৎপাদন । নদ- নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি মরার উপর খরার ঘা এ মতো শায়েস্তাগঞ্জে প্রধান নদী খোয়াই ও সুতাং নদী কাছে গড়ে উঠা হাটবাজারের ময়লা আবর্জনা ও শিল্প বর্জ্যের দূষণের প্রভাবে আজ অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলছে ।
শুল্ক মৌসুমে শিল্প বর্জ্যে মিশ্রিত গাঢ় কালো দূর দূর্গন্ধ যুক্ত পানি শুধু সুতাং নদীতে দৃশ্যমান হলে ও বর্ষায় তা পুরো নদ- নদী , খাল- বিল , জলাশয় পানি ছড়িয়ে পড়ে আবার কোনো আটকিয়ে থাকে । মাছের প্রজনন ও উৎপাদনের সময়ে শিল্প বর্জ্যের প্রভাবে দেশী প্রজাতির মাছের প্রজনন ও উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে ।
একসময় শায়েস্তাগঞ্জে মলা, ঢেলা, বাতাসী, ফুটি, বাল্লারা, টেংরা, চিংড়ি , ডানকিনা,হল্লা , পলই , মিনি , বৈচা, খোলসে , কাঁকালে, তারা বাইম , বাছা, সিং , মাগুর, টাকী , দেশীআইর , রানী মাছ সহ প্রায় ১৩১ প্রজাতির মাছ দেখা যেতো ।
বর্তমানে এর বেশীর ভাগই হারিয়ে গেছে । আর যে প্রজাতি গুলো এখনো টিকে রয়েছে সে গুলোর ও অস্তিত্ব সংকটে।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় , হাট- বাজারের ময়লা আবর্জনা স্তুপ করে সুতং নদীতে ফেলা এবং বিভিন্ন শিল্প বর্জ্যের করাল গ্রাসে শায়েস্তাগঞ্জে নদ- নদী , খাল- বিল, জলাশয়ে মাছের প্রজনন হওয়ার মতো পরিবেশ নেই বললেই চলে । এমন পরিবেশে টিকে থাকে তা নিষিদ্ধ কারেন্ট ও চায়না দোয়ারি জাল দিয়ে নির্বিচারে নিধন করে চলছে ।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ নুরপুর ইউনিয়নের আলগাপুর এলাকার মৎস্য শিকারী শাহাব উদ্দিন জানান , নদ-নদী , খাল- বিল, জলাশয়ের দেশী প্রজাতির মৎস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার জন্য দায়ী শিল্প বর্জ্যের প্রভাব । এ বর্জ্যের কবল থেকে রক্ষা না করতে পারলে দেশী প্রজাতির সুশাদু মাছ হারিয়ে যাওয়া ঠেকানো যাবে না। মাছের খাবার ছোট ছোট শামুক নিধনের ফলে মাছের খাদ্য সংকট । এতে দূষণবর্জ্যের কারণে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ।