হবিগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় স্কুল -কলেজ পড়ুয়ারা জড়িয়ে পড়ছে বিপদজনক কিশোর গ্যাংয়ে। যার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ । এতে অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে । দিন দিন এদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ।
উপজেলার ইউনিয়নের চেয়ে পৌর শহরে রয়েছে কিশোর গ্যাং গ্রুপ ।
অনুসন্ধানে দেখা যায় , পৌর শহরে অভ্যন্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় , বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় , ইসলামি একাডেমি এন্ড হাইস্কুল , জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ , ডিগ্রি কলেজ , কামিল মডেল মাদ্রাসা স্কুল – কলেজ শুরু এবং ছুটির সময় কিশোর গ্যাং নামের বখাটেরা বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা , রেললাইন , সড়ক , রেলস্টেশন , রেলগেইট , টমটম ও সিএনজি গাড়ির স্ট্যান্ড , গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্ট ও দোকান পাঠ বসা , স্কুল – কলেজ রাস্তায় ও দোকান পাঠ সামনে দাড়িয়ে থাকা প্রতিদিন বিভিন্ন ছদ্মবেশে নানা কৌশলে উৎপেতে থাকে কিশোর গ্যাং অপরাধী একা বা দলবেঁধে আড্ডা জমায় ও অযথা ঘুরাফেরা ।
তাদের উৎপাতের কারণে অনেক অভিভাবক উৎকন্ঠায় সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন না এবং অনেকেই ভর্তি করতে চাচ্ছে না ।
আবার অনেক কিশোর গ্যাং আধিপত্য বিস্তারে জড়িয়ে পড়ছে খুন ও ঝগড়া মারামারিতে । কিশোর গ্যাংয়ে পিতা-মাতা, ভাই -বোন অভিভাবকরা সচেতন না থাকায় তাদের স্কুল – কলেজ পড়ুয়া সন্তানরা জড়িয়ে পড়ছে বিপদজনক কিশোর গ্যাং এর সাথে ।
কিশোর গ্যাং দমনে প্রশাসন সক্রিয় থাকলে ও পৌর শহরে কোথাও না কোথাও ঘটছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত জনিত অপরাধ ।
তারা স্কুল – কলেজগামী বা ভোর সকালে কোচিং সেন্টারগামী ছাত্রীদের অলি-গলি রাস্তায় চলাচল সময় বিভিন্ন কৌশলে ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে ইভটিজিং করছে ।
অনেক ছাত্রী লজ্জায় কিংবা বখাটের ভয়ে তা কাউকে জানাতে পারছে না এবং অনেক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও তাদের অভিভাবকদের কাছে ভয়ে লজ্জায় বলে না ।
অনেক কিশোর গ্যাং বিভিন্ন নাম ধারণ করে ছদ্মবেশে সন্ধা হলেই শহরের নির্জন পয়েন্ট রেলস্টেশনে ঘুরাফেরা , রেলস্টেশন ওভারব্রীজ উপর আড্ডা , রেল পার্কিং বসা , মনিকা সিনামা হল এলাকায় , দাউদ নগরবাজার রেলগেইট আড্ডা ও বাল্লা রেল গেইট চা দোকানে আড্ডা , রেললাইন উপর বসে আড্ডা , বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর আড্ডা এবং বিভিন্ন গ্রামের ভেতর রাস্তায় দোকান পাঠ নিকটে আড্ডা সহ বিভিন্ন অপরাধে মোবাইল ফোন মাধ্যমে লুডু খেলা নামে জুয়া খেলা সক্রিয় হয়ে পড়ে ।
পর্যটকদের টার্গেট করে এসব টিম ভোর সকাল এবং সন্ধা নামলেই মাঠে নামে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে । ফলে প্রতিদিনই অগোচরে ছাত্রীদের মা -বাবা , ভাই – বোনরা অপমান করছে কিশোর গ্যাংরা । ছাত্রীদের ইভটিজিং বিষয়ে কিশোর গ্যাংয়ের অভিভাবক বিচার প্রার্থী হলেও কোনো লাভ হয় না।
এমনকি এলাকার ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিকে অবগত করলে-ও তারা কোনো অবগত নয় কিন্তু এরিয়ে যায় বলে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মোবাইলে আজে-বাজে কথা বলে ।
কিশোর গ্যাং অনেক পরিবার অটোরিকশা সিএনজি চালক , টমটম চালক , গাড়ি চালক, জনপ্রতিনিধি সন্তান ও আত্মীয় , প্রবাসী সন্তান , শ্রমিক , দিনমজুরি সন্তানরা এ-সব কিশোর গ্যাং সাথে জড়িত রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায় ।
এদিকে এসব কিশোর গ্যাং অধিকাংশ বয়স ১৩ – ১৭ বছরে মধ্যে হলেও কিছু রয়েছে ১৮ – ২৫ বছরের যুবক। বেশিরভাগ প্রায় সচেতন , অনেক নাম করা পরিবারের সন্তান অথচ তাদের সন্তানরাই প্রতিদিন ছিনতাই , মাদক সেবন – বিক্রি , মোবাইলে লুডু মাধ্যমে জুয়া খেলা লিপ্ত ।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরশহরে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত বন্ধ করতে হলে র্যাব ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর ভূমিকা নিলে এসব কিশোর গ্যাং উৎপাত বন্ধ হয়ে যাবে ।