হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ খোয়াই ও সুতাং নদী, খাল, বিল ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার অভ্যাস। বড়শি হলো মাছের খাবারের টুপ লাগিয়ে সকল প্রজাতির মাছ ধরার একটি ছোট্ট ফাঁদ।
ডাইট্টা বা চুঙ্গি এমনকি লাড় লম্বা সূতায় অনেক গুলো বড়শি আটকানো। আবার বড়শির গুঁড়ায় চিকন সূতা দিয়ে কোন কচুরীপনার ডাটা, বাঁশের ও ধইনচা’র চুঙ্গায় বেঁধে ভাসা পানিতে ফেলে মাছ ধরার ফাঁদ নাম ছিল ডাইট্টা বা চুঙ্গি ।
এমনকি লম্বা কৃতীর কূড়া বা চিপের সাহায্যে বড়শি পানিতে ফেলে মাছ ধরতো প্রায় তিন দশক আগেকার গ্রামের মানুষ। বর্তমান সময়ে চায়না , মশারী ও কারেন্ট জালের অবাদ ব্যাবহারের ফলে দেশীয় সকল ধরনের মাছসহ পোনা বিলুপ্ত হচ্ছে।
মাছের প্রজাতি রক্ষায় বড়শি ছিল বেশ উপকারী। পোনা মাছ ও প্রজনন রক্ষায় ক্ষেত্রে যতেষ্ঠ ভূমিকা রাখা হতো।
যার দরুন পোনামাছ নিধনের কোন ভয় ছিল না । প্রায় সব ধরণের স্বাবলম্বী মাছ এতে আটকা পরতো।
এদের শিকারকে মাছের আধার খাবার বা টুপ হিসেবে পোকা মাকড় , তেলাপোকা , পিঁপড়ার ডিম, লেটা জির , ভাত- ময়দা ও চিংড়ি সহ ছোট মাছ। বঁড়শি অগ্রভাগে লাগিয়ে ফাঁদ পাতা হতো খোয়াই ও সুতাং নদী , খাল- বিল বা ভাসা পানিতে ।
এই ফাঁদ পাতার প্রসিদ্ধ স্থান ছিল খোয়াই ও সুতাং নদী , খাল- বিল বড়শিতে ধরা পরতো বোয়াল, বাইম, বামশ, ঘাগট, চিতল, কৈ, মাগুর , ষোল, গজার , টাকি, রুই, কাতল, মিরকা , মাগুর , শিং, শৈলা, রিডা, ফুটি সহ সকল প্রজাতির মাছ গুলো ছিল যেমন সুস্বাদু মনোমুগ্ধকর ও তৃপ্তি জনক।
বিলুপ্ত হলেও এখন অনেক সময় দেখা মিলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে কোন সৌখিন মানুষ আবদ্ধ দিঘি বা বড় পুকুরে। তবে অবসর সময় কাটতো আগেকার দিনের সববয়সী জনমানুষের। কিন্তু এখন অবসর সময় কাটে বাজে কোন আসড়ে। গবেষকদের মতে মাছের প্রজননধংসকারী, মশারী, চায়না দোয়ারি ও কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধ না হলে অচিরেই কোন সংরক্ষণাগার ছাড়া দেশীয় মাছের দেখা মিলবে না।