হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পৌর শহরে সড়ক ও ড্রেনেজ বেহাল দশা , অল্প বৃদ্ধিতে তলিয়ে যায় সড়ক ও ড্রেনেজ ময়লা পানিতে হয়ে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী।
পৌরশহরে ২, ৩ , ৪ , ৫ , ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড সহ শহরের প্রধান সড়ক ও ড্রেনেজ এর বেহাল দশায় সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে গ্রামের রাস্তা, বাজার ও প্রধান সড়কে এবং ড্রেনে পানি জমে থাকায় বাজার ব্যবসায়ী ও গ্রামের পথচারীদের দীর্ঘ দিন ধরে ভোগান্তি যেন চরম আকার ধারণ করেছে ।
বর্ষাকাল আসলেই শহরের এ অবস্থা নাজেহাল পৌরবাসী । পৌরশহরে রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা পৌর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না থাকায় এমন অভিযোগ পৌর নাগরিকদের । চলতি বছর বিগত জুন মাস থেকে জুলাই মাসে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি হচ্ছে ।
পৌর শহরে বাজার ও গ্রামে ঘুরে দেখা যায় , বৃষ্টি আসলে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গ্রামের অলিগলি সড়ক ও ড্রেন গুলোতে পানি থৈ থৈ করছে । কোথাও কোথাও বৃষ্টি পানি হাঁটু সমান । বাজারে ও গ্রামে ড্রেনেজ দিয়ে বৃষ্টি পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ।
এ অবস্থায় গ্রামের পথচারী , বাজার পথচারী,বাজারে ক্রেতা – বিক্রেতা সহ অটোরিকশা সিএনজি , বেটারী চালিত ইজি বাইক টমটম , রিক্সা , মোটরসাইকেল চরম বিপাকে পড়ছেন । প্রতিটি গ্রামে ও হাটবাজারে ড্রেনের ময়লা পানির ভ্যাপসা গন্ধে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ।
এ জলাবদ্ধতায় সড়ক ও ড্রেনেজ ময়লা পানি সৃষ্ট হওয়ায় শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের গ্রাম এলাকায় ভুক্ত ভোগীরা ক্ষু যুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন , গ্রামের মানুষ পানিতে ডুবলেও খোঁজ নিতে আসে না কোনো জনপ্রতিনিধি । নির্বাচন আসলে দেখা যায় ভোটারদের কাছে উন্নয়নের কথা এবং পৌর নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা করে দিবে বলে প্রতি শ্রুতি দিয়ে গেলে ও নির্বাচিত পর তাদেরকে দেখা পাওয়া যায় না । বিভিন্ন ওয়ার্ডের স্থানীয়রা আঙুল তুলছে কাউন্সিলর ও মেয়রের দিকে ।
শহরবাসী দীর্ঘ বছর ধরে এমন ভোগান্তি পোহালেও পৌর কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা গ্রামের রাস্তা ও ড্রেনেজ সংস্কারের নিচ্ছেন না কোনো ব্যবস্থা।
চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে ৪ নং ওয়ার্ডের চরনুর আহম্মদ ( দাউদ নগর) গ্রাম ও ৭ নং ওয়ার্ডে কুঠিরগাঁও গ্রামের রাস্তা এবং ড্রেন সংস্কার নেই ।
এই দুইটি গ্রামে বৃষ্টি আসলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে পথচারীদের চলাচলের একদমই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শহরের চরনুর আহম্মদ ( দাউদনগর) গ্রামে প্রবেশদ্বার , কুঠির গাঁও গ্রামে প্রবেশদ্বার , শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রবেশদ্বার , রেলওয়ে গুদাম , রেলওয়ে কলোনি ড্রেনেজ ও রাস্তা অবস্থা বেহাল দশার কারণেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ প্রতিটি ওয়ার্ডের পৌর নাগরিক ও বাজার ব্যবসায়ী ।
৪ নং ওয়ার্ডের চরনুর আহম্মদ ( দাউদনগর) গ্রামের মোঃ সাহেদ আলী বলেন , দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চরনুর আহম্মদ (দাউদনগর) গ্রামে বাস করি কিন্তু পৌর সভা পূর্বে রাস্তা ও ড্রেনেজ পানি নিষ্কাশনের কোনো সমস্যা ছিল না । এ গ্রামটি ঐতিহাসিক গ্রাম ।
এ গ্রামে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন শত শত আশেকান ভক্ত বৃন্দ শাহ সৈয়দ হাসান উল্লা ওরফে সৈয়দ নাসির ( রহঃ) প্রকাশ ছাওয়ালপীর মাজার শরীফ জিয়ারত করতে আসে এবং বন্দেগী শাহ সৈয়দ দাউদ (রহঃ) অলৌকিক ক্ষমতা অসংখ্য “গায়বী গজার মাছ ” দেখতে আসা এবং ছোট মাছ , মাংস খাবার নিয়ে আসে। বর্তমানে পৌর সভা প্রথম শ্রেণি হলেও কার্যক্রম তৃতীয় শ্রেণি পৌর সভা।
পৌর নাগরিকরা সর্ব দিক দিয়ে পৌর কর দিয়ে আসলে ও ওয়ার্ডবাসী রাস্তা ও ড্রেনের দুর্ভোগ ভুগছেন ।
বর্তমানে বৃষ্টি হলেই পৌরসভা বিভিন্ন ওয়ার্ডে অলিগলি রাস্তা সংস্কার নাই ও ড্রেনে ময়লা পানিতে চলাচলে ভোগান্তি সহ সাধারণ মানুষের কস্ট বাড়ে । ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ড এলাকায় রাস্তা ও বাড়ি ঘরে ময়লা পানি উঠে যায় ।
এ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে ৪ নং ওয়ার্ড চরনুর আহম্মদ (দাউদ নগর) নাগরিক । তাই শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড বাসীর জন্য প্রয়োজন রাস্তা গুলো সংস্কার ও আধুনিক উন্নত মানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হউক ।
এদিকে ৭ নং ওয়ার্ডে কুঠিরগাঁও গ্রামের মোঃ জায়েদ মিয়া বলেন , রাস্তা থেকে ড্রেনেজ বেহাল দশা । ড্রেনে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে বৃষ্টি পানি পড়লে ময়লা পানি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বাসা – বাড়িতে উঠে পড়ে ।
দীর্ঘ দিন ধরে পৌরসভা কাউন্সিলর ও পৌর মেয়রকে অবগত করা হলেও নজর নেই ওয়ার্ডবাসীদের প্রতি । জলবদ্ধতায় শহরবাসী ভোগান্তি পোহালে ও পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যাটির সমাধানে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা মেয়র মোঃ ফরিদ আহমেদ অলি বলেন , পৌর শহরে প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কার ও ড্রেন সংস্কার করার খোঁজ খবর নিয়েছি কিন্তু এসব কাজ করার জন্য বরাদ্দ না আসায় পৌরবাসী আমার প্রতি খোদ।
মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও এমপি মহোদয় সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করছি , প্রকল্প আসলে প্রতিটি ওয়ার্ডে অলিগলি রাস্তা , ড্রেন সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে।