শাল্লা থেকে রাজু বৈষ্ণব/রিম্পী শুক্লবৈদ্যঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করার দায়ে ছাদির মিয়া (২২) নামে এক লম্পট যুবককে গ্রেফতার করেছে শাল্লা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত লম্পট শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের শরিফপুর গ্রামের তাহেদ আলীর ছেলে।
জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল বিকাল ৩ ঘটিকার সময় বাড়ির পশ্চিমে উাজানগাংয়ের নদীর
পাশে ধর্ষক ছাদির মিয়ার ধানের জমিতে একই গ্রামের (তার চাচাতো বোন)
৭ বছরের শিশু মেয়েটিকে প্রলোভন দেখিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষন করে।
এসময় মেয়েটির চিৎকারে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক ছাদির মিয়া পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানিয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে শাল্লা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ,উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এ ব্যপারে মেয়ের বড় ভাই বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে শাল্লা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন । মামলা নম্বার ৪, তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২১ইং।
মামলায় ধর্ষণের অভিযোগে ছাদির মিয়াকে আসামি করা হয়৷
এবিষয়ে শাল্লা থানা অফিসার ইনচার্জ নুর আলম জানান, এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আসামি ছাদির আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যপারে উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জেসি বিশ্বাস বলেন,যেহেতু ধর্ষক ছাদির মিয়া যখন আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে তাই থাকে দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি দিলে, দেশে ধর্ষনের ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমি মনে করি।