জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

শিশু এ্যানিকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন সম্পন্ন করার ১দিন পরে মিললো পরিচয়

হবিগঞ্জের বানিয়াচং নবীগঞ্জ সড়কে ৩০জানুয়ারি(মঙ্গলবার)কাগাপাশা বাজারের পশ্চিমে ব্রীজের নিচে ডোবা থেকে সকাল সাড়ে ১১টায় পরিচয়হীন এক(শিশু-কন্যা) বাচ্চার লাশ উদ্ধার করে বানিয়াচং থানা পুলিশ।

পরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করা হয়।

মর্গে ১দিন ১রাত শিশুর লাশটি পরে থাকার পর ৩১জানুয়ারি (বুধবার)ময়না তদন্তের কাজ শেষ করা হয় এবং শিশু বাচ্চাটির কোন পরিচয় না পাওয়ার কারনে আঞ্জুমান মফিজুল এর হাতে দাফন কাজের জন্য হস্তান্তর করেন পুলিশ প্রশাসন।

তারপর আসরের আজানের পর শিশু বাচ্চার লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেন আঞ্জুমান মফিজুল এর সদস্যগন বলে পুলিশ সূত্রে জানাযায়।

এদিকে ১দিন অতিবাহিত হয়ে শিশু বাচ্চাটির লাশ দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর এই বাচ্চাটির পরিচয় পাওয়া গেছে এমন খবর আসে জৈন্তা বার্তা পত্রিকার হাতে।

তাই এই শিশু বাচ্চা সম্পর্কে জানতে রাত ৮টা ২১মিনিটে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিলেটের বলে জানতে পারার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,তারা থানায় আসতেছেন তারপর বিস্তারিত জেনে জানানো হবে বলে জানান।

এব্যাপারে সর্বশেষ রাত ১০টা ২১মিনিটে ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ এরশাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বাচ্চার পরিচয় পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,তারা সিলেট টিলাগড় এলাকার।

বাচ্চার পরিবারের লোকজনের সাথে তার যোগাযোগ হয়েছে তারা থানায় আসতেছেন।
বর্তমানে তারা গ্যাসের কারণে সিলেটের ভিতরেই রয়েছেন বলে জানান।
তারা আসার তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তারপর আপনাদেরকে জানাতে পারবো।

এব্যাপারে রাত ১১টা ৪২মিনিটে ১৫ মাস বয়সী শিশু এ্যানির মা ইয়াসমিন এর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে,বানিয়াচংয়ে আসা তার সাথে থাকা বোন পারভীন বেগম ফোনটি রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি বাচ্চার মাকে গাড়িতে রয়েছেন বলে জানান,তিনি ইয়াসমিন এর ধর্ম বোন হন।
ইয়াসমিন(২৪)হলো জৈন্তাপুর থানার গর্দনা গ্রামের তুমাই মিয়ার কন্যা।

ইয়াসমিনের পূর্বেও একটি বিয়ে হয় এবং ইয়াসমিন এর পূর্বের স্বামীর একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
তারপর তাদের সংসারের বিচ্ছেদ ঘটলে ৩ বছর একই থানা জৈন্তাপুর উপজেলার লালা খাল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র ইমরান(৩০)মিয়ার সাথে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর এই ১৫মাস বয়সী শিশু কন্যা এ্যানির জন্ম হয় এবং এ্যানিকে হত্যা করার রাতে চিকিৎসার কথা বলে নিয়ে এসে এখানে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
এবং তাদের নাম্বারে একটি ফোন এসেছে রিসিভ করার কথা ও বাচ্চার মায়ের সাথে আলাপ করার কথা বলে লাইনটি কেটে দেন।

সর্বশেষ ১লা ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টা ১৩মিনিটে মুঠোফোনে ইয়াসমিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান তার ১৫ মাসের বাচ্চা এ্যানি অসুস্থ ছিলো।

তার স্বামী ইমরান গাড়ি চালাতেন তাই রাতে নিজে বাচ্চাকে চিকিৎসা করার জন্য তাকে সাথে করে ৯টার দিকে গাড়িতে করে নিয়ে আসেন বাসা থেকে এবং রাত ২টা আড়াইটার দিকে এখানে ফেলে দিয়ে এক টানে চলে যায় পরে তাকে সিলেটের একপ্রান্তে নামিয়ে চম্পট দেয় পাষণ্ড স্বামী বাচ্চার বাবা ইমরান ও তার সাথে থাকা গাড়ির হেলপার বাদল।

তারপর এটা কোন জায়গা বা কোথায় ফালানো হয়েছে তিনি চিনতে পারেননি বা জানতে পারেননি বলেও জানান।
পরে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।
বর্তমানে তারা সিলেট থেকে গ্যাস নিয়ে বের হয়েছেন এবং তার শিশু বাচ্চা এ্যানিকে হত্যার দায়ে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করার জন্য আসতেছেন বলে জানান।