১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৪:১১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

সমাপনী শিক্ষার্থীদের শেষ মুহুর্তে করনীয়

আমিনুল ইসলামঃ আগামী ১৭.১১.২০১৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। ভালো ফলাফল ও বৃত্তি পেতে হলে প্রতিবারের ন্যায় এবারও সর্বোচ্চ প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হতে হবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে। তীব্র প্রতিযোগতামূলক এ পরীক্ষায় তারাই বৃত্তি প্রাপ্ত হবে যার যথার্থ কেীশল অবলম্বন করেছে এবং  সর্বোচ্চ  প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।

অনেক সময় দেখা যায় সর্বোচ্চ  প্রস্তুতি নেওয়ার পরও পরীক্ষার জন্য বরাদ্ধ সময়টুকু ভালভাবে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় অনেক শিক্ষার্থী। যার কারনে বৃত্তি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। তাই আজ আমি তোমাদের জন্য পরীক্ষার আগে পরীক্ষার সময়টুকু কিভাবে ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে পারবে সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ তুলে ধরছি।

পরীক্ষার আগের দিন অনেক রাত পর্যন্ত জেগে পড়া এবং পরীক্ষা দিতে যাবার সময় যানবাহনে বসে পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এমনকি এক দিনে দুই পরীক্ষা অর্থ্যাৎ সকাল-বিকাল পরীক্ষা থাকলে দু পরীক্ষার মধ্যবর্তী সময়ে পড়াশোনা না করাই শ্রেয়।

কারণ দুই পরীক্ষার মধ্যবর্তী সময়ে সিলেবাস শেষ করার জন্য মাথায় থাকে ভীষন চাপ। অবশেষে লং সিলেবাস শেষ করতে না পারায় মন হয়ে যায় আনমনা। পরীক্ষাতে মন থাকে উদাস উদাস।

যার ফলে পরীক্ষায় ভালো উপস্থাপন করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে এ বিষয়টি কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনের বাঁধার কারণ হয়ে দাড়ায়। তাই তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার ঠিক আগের সময়টুকু এবং দুই পরীক্ষার মধ্যবর্তী সময়টুকু যথা সম্ভব রিলাক্সড থাকার চেষ্টা করবে। এমন অবস্থায় শিক্ষক, পিতা-মাতাসহ গুরুজনের দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করতে পার।

মনে রাখবে দোয়া ও আর্শিবাদ নিয়েও লাভ নেই যদি পরীক্ষার পূর্বে ভালো প্রস্তুতি এবং পরীক্ষায় ভালো উপস্থাপন না কর।

তাছাড়া বাসা থেকে বের হবার সময় অবশ্যই সজাগ দৃষ্টি রাখবে এডমিট কার্ড, রেজিষ্ট্রেশন কার্ড, ক্যালকুলেটর, জ্যামিতি বক্সসহ প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে নিয়েছ কি না?

এগুলো আবার যানবাহনে রেখে যেও না কিন্তু। সময় দেখার জন্য অনেকে মোবাইল ব্যবহার করার অভ্যাস আছে। পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল নেয়া নিষিদ্ধ তাই সময় দেখার জন্য হাত ঘরি ব্যবহার করতে পার।

খাতা হাতে পাবার পরপরই নিদ্রিষ্ট স্থানে প্রবেশপত্রে উল্লেখিত রোল নাম্বার সতর্কতার সাথে পূরণ করবে। অসাবধানতাবশত ক্লাশ রোল নাম্বার দিয়ে যেন পরীক্ষার খাতার রোল নাম্বার পূরণ না কর সেদিকে খেয়াল রাখবে।

যদি প্রশ্নে এবং খাতায় কোড নাম্বার থাকে তবে প্রশ্ন হাতে পাবার সাথে সাথে সে কোড পূরণ কর নিবে। যেহেতু ১০০ নাম্বারের প্রেক্ষিতে সময় নিদ্রিষ্ট তাই সময়কে প্রতি নং এর জন্য ভাগ করে নিতে পার।

তাছাড়া প্রশ্নের উত্তর দেবার সময় সতর্ক থাকবে যাতে বানান ভূল না হয়। কারণ প্রতি ৪টি বানান ভূলের জন্য একটি নাম্বার কাটা হয়। তাই পরীক্ষায় অধিক লেখার চেয়ে নির্ভুল অল্প লেখা ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে।

অনেক সময় তাড়াহুড়া করে উত্তর লিখতে গিয়ে কত নং প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছ তা লিখতে অনেকে ভুলে যাও, তা থেকে বিরত থাকতে হবে। অসাবধানতায় এমনটি করে ফেললে পুরো শ্রমই বৃথা যাবে। এবং পরীক্ষা শেষে  পুরো খাতায় এক পলক চোখ বুলিয়ে নিও।

পরিশেষে বলব, এ পরীক্ষা তোমাদের ভবিষ্যত শিক্ষা জীবনের আলোর মশাল। পরীক্ষার শিক্ষায় উজ্জবীত হয়ে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও দেশ প্রেমিক ডাক্তার, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিষ্টার হয়ে মা-বাবার লালিত স্বপ্নকে পূরন কর সে প্রত্যাশায় রইলাম।

লেখকঃ সাবেক শিক্ষক, আল-হেরা একাডেমী এন্ড হাই স্কুল, হবিগঞ্জ।