দেশের তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বসুন্ধরা গুণীজন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন হবিগঞ্জের প্রবীণ সাংবাদিক ফজলে নূর ইসমত।
সোমবার রাতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এক ঝমকালো অনুষ্ঠানে ফজলে নূর ইসমতসহ দেশের ৬৪ জন সাংবাদিকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও এতে সভাপতিত্ব করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
এতে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপিসহ সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, শিল্পী ও ক্রীড়া জগতের তারকারাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জে আদর্শ ও ন্যায়নিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ চৌধুরী ফজলে নূর ইসমতের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ এপ্রিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শিরিকান্দি গ্রামে। ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানে হবিগঞ্জে ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্ব ছিল তাঁর হাতে।
১৯৬৭ সালে দৈনিক সংবাদের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতায় পা রাখেন। বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কাজ করেছেন সিলেটের ঐতিহ্যবাহী যুগভেরী, দেশ বার্তায়।
১৯৮০ সালে নিজেই বের করেন হবিগঞ্জ বার্তা। ১৯৮২ সালে হবিগঞ্জের সাপ্তাহিক দৃষ্টিকোণে বার্তা সম্পাদকের দায়ত্ব পালন করেন।
১৯৮৪ সালে সাপ্তাহিক স্বদেশ বার্তায় ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। ১৯৮৪ সাল থেকে বেশ কয়েক বছর বাংলাদেশ বেতারের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ প্রেরণ করেন।
জীবনের শেষ দিকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় যোগ দেন তিনি। এরপর পাঁচ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ‘শিক্ষকতা’ ও শিশুদের জন্য ‘রংধনু’ নামে দু’টি ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন।
১৯৯৬ সালে শিক্ষাবিষয়ক উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাজ্যে যান এবং সেখানকার রেডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।