সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকরা পেছনে লাগানো থাকলে কাজ সহজ হয়। তারা জনপ্রতিনিধিদের ভুল ধরে তাদের সংশোধনের সুযোগ তৈরি করেন।
মানুষ হিসেবে আমারও অনেক ভুল হতে পারে, এরকম হলে আমাকে মনে করিয়ে দেবেন এরপর আমি সংশোধন না করলে নিউজ করবেন। সাংবাদিকদের এরকম বস্তুনিষ্ট সংবাদ সমাজের জন্য সহায়ক। তাই বন্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার চর্চা করতে হবে।
শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে দৈনিক প্রভাতবেলার প্রীতি সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সম্পাদক কবীর আহমদ সোহেলের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সম্পাদক মুহিব আলী এবং সম্মিলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও প্রভাতবেলার বার্তা সম্পাদক চৌধুরী আমীরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি আরও বলেন সিলেটবাসী লজ্জিত হন এমন কোনো কাজ আমি করবো না। সবার সহযোগিতা নিয়ে ক্লিন সিলেট গড়ে তোলা হবে।
এসময় তিনি সাংবাদিক হিসেবে বর্তমানে পত্রিকা চালানো খুব কঠিন কাজ উল্লেখ করে এজন্য প্রভাতবেলা সম্পাদককে ধন্যবাদ জানান। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সিলেট প্রেসক্লাবে তাকে প্রথম আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান।
এরআগে শুরুতে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রেজাউল হক ডালিম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্পাদক কবীর আহমদ সোহেল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেণু। বক্তব্য রাখেন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আবুল হাশেম চৌধুরী, সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন এবং দৈনিক জালালাবাদের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আহবাব মোস্তফা খান।
এসময় সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব নোমান বিন আরমান, সদস্য মুনশী ইকবাল, কামরুল আলম, ফয়সল আহমদ বাবুল, মুক্তদির হোসেন মুক্ত উপস্থিত ছিলেন।
ডেলিগেটদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ ই সরকার জবলু, পলিনা রহমান, জালাল আহমদ, নাজমুল কবির পাবেল, আহমদ মারুফ, শফিক আহমদ শফি, শহিদ হাতিমী, ফখরুল ইসলাম, তাসলিমা খানম বীথি, খালেদুর রহমান, আলমগীর হোসেন, মুহিবুর রহমান মিছলু, ফয়জুল হক শিমুল, গোপাল সূত্রধর, কাওসার আহমদ, জাকারিয়া তালুকদার, আলাউদ্দিন আহমদ সুমন, দূর্গেশ চন্দ্র সরকার, হেলাল আহমদ, আশিকুর রহমান, কামাল হোসেন মিঠু, নওরোজ আরেফিন, আইনুল হক, মাহফুজ হাসান, আনিন সরকার, ইনামুল আসিফ লতিফি, মাশরুর রাসেল, মুকিত তুহিন, আহমেদ শাফায়েত অপু, মাসুদ আহমদ, জুনেদ আহমদ রুনু, জাকারিয়া মজুমদার, জমশেদ উদ্দিন, গোলাম মর্তুজা সেলিম, হাবিবুর রহমান চয়ন, মো. কালাম হোসেন, ফারুক আহমদ, মিজানুর রহমান মিজান, মাহমুদুর রহমান, আবদুল আওয়াল চৌধুরী শিপার, শাহীদুল মুরছালিন প্রমুখ।
দুপুরের মধ্যাহ্ন বিরতি ও আপ্যায়নের পর স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয় এবং র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। পরিশেষে সম্পাদক তার সমাপনী বক্তব্যে তার দীর্ঘ সাংবাদিকতার চরাইউৎরাই এবং প্রভাতবেলা ও সাপ্তাহিক সিলেট পরিক্রমার ইতিহাস তুলে ধরেন এবং দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি প্রভাতবেলা নিয়ে প্রভাতবেলা ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ভবিষ্যৎ কর্মকান্ডের রূপরেখা তুলে ধরেন।