হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে তেলমাছড়া বনবিট এলাকায় অযত্ন – অবহেলায় কোটি টাকার গাছ নষ্ট হচ্ছে । কর্তৃপক্ষ আইনী জটিলতা অজুহাত দেখলেও তাদের অযত্ন অবহেলাকে দোষী করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
সেগুন, আকাশমণি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মূলবান গাছ বিভিন্ন সময়ে এলাকার সংঘবদ্ধ চোর চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করে এখানে রাখা হয়েছে।
এরপর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বছরের পর বছর ধরে এখানে পড়ে আছে এসব গাছের কাঠ। ফলে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা শত শত ফুট মূল্য বান কাঠ পচে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
অথচ এ গাছ গুলো উদ্ধারের সাথে সাথেই যদি নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয় , তাহলে সরকারি কোষাগারে বিপুল অংকের টাকা রাজস্ব জমা হতো । পাশাপাশি গাছ গুলো কাজে লাগতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান , তেলমাছড়া বনবিটে কোটি টাকার গাছ নষ্ট হচ্ছে । এর জন্য একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে বসে আছেন কর্তৃপক্ষ । ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট বলবে মামলা চলছে দীর্ঘ দিন যাবত আমাদের কি করার আছে ? সরকারি আইনজীবী বলতে আসামী পক্ষ বারবার সময় নিয়ে মামলা বিলম্ব করেছে , এবং এখানে আমার কোনো দোষ নেই। আসামীর পক্ষে আইনজীবী বলতে আমার মক্কেলকে ন্যায় বিচার দেওয়ার জন্য আমার প্রন্তুতি নিতে গিয়ে দেরি হয়েছে। বন বিভাগের লোক জন কেন সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করেনি এই গাছ গুলো । সব কিছু দেখে শুনে বুঝে মনে হয় , কারোর কোন দোষ নেই , বাংলাদেশের মানুষের কপালে দোষ ।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ তারেক রহমান বলেন , সাতছড়ি ও তেলমাছড়া বনবিট আমাদের অধীনে নেই কিন্তু এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারাবো না।
সাতছড়ি বনবিট এর রেঞ্জ অফিসার মোঃ আল আমিন বলেন , বিভিন্ন সময়ে গাছ চোরদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতি গাছ উদ্ধার করে জব্দকৃত এখানে রাখা হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এ সমস্ত গাছ গুলো কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না । আমরা বিভিন্ন সময়ে আদালতে আবেদন করে রেখেছি কিন্তু আদালতের অনুমতি না পাওয়ায় কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না ।