জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

সারা বছর কদর না থাকলে ও ব্যাস্ত সময় পার করছে কুমারপাড়ার মৃৎশিল্পীরা

মাটির তৈজসপত্র তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে  কারিগরা।   জরাজীর্ণ আবাসগুলোতে কেউ মাটি ঘুটছেন, কেউ সেই মাটি ছাঁচে দিয়ে তৈজসপত্র তৈরি করছেন। কেউবা খেলনা শুকানোর পর রং–তুলির আঁচড় দিচ্ছেন। পুরুষের পাশাপাশি  নারী  শিল্পরা কাজে  ব্যাস্ত। 

এমন চিত্র  দেখা  যায়  আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার নগর গ্রামে কুমার পাড়ায়।

বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ ও পৌষ সংক্রান্তি মেলা ঘিরে আজমিরীগঞ্জে কুমারপাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে। সারা বছর মৃৎশিল্পীদের কদর না থাকলে ও পৌষ সংক্রান্তি মেলা  উপলক্ষে তাঁরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

মৃৎশিল্পীরা বলছেন, পৌষ সংক্রান্তি ও  নববর্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে। সারা বছর মাটির তৈজস বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ না করলেও মেলার কারণে বাহারি সব খেলনা তৈরি করেন। যদিও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তাঁদের অনেকে পেশা ছেড়ে দিয়েছে অনেকেই।

শিল্পযোদ্ধারা বলছেন, হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অনবদ্য রূপ মৃৎশিল্প। এর সঙ্গে একদিকে জড়িয়ে আছে জীবনের প্রয়োজন, অন্যদিকে নান্দনিকতা ও চিত্রকলার বহিঃপ্রকাশ। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নিয়ে পেশাটি বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মাটির তৈজসপত্রের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের খেলনা তৈরি করছেন মৃৎশিল্পীরা।

মাটির পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ষাঁড়,  নৌকা, টিয়া, সিংহ, দোয়েল, কচ্ছপ, মাছ, হাঁসসহ নানা রকম ফল, ফুল আর বাহারি মাটির ব্যাংক, প্লেট, মগ, গ্লাস, চায়ের কাপ, পিঠা তৈরির ছাঁচ তৈরি হচ্ছে সমানতালে। বিভিন্ন মেলায় এসব জিনিস বিক্রি করা হবে।