জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

স্পেশাল পিপি মাসুম মোল্লার বিরুদ্ধে তিনগুণ সরকারি ভাতা নেয়ার অভিযোগ

হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে প্রাপ্য ভাতার তিনগুণ টাকা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি জজকোর্টের আইনজিবী এপিপি সৈয়দ আফজাল আলী হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমক কমিশনের দপ্তরে এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, আইন সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগের অনুলিপিও পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১লা মে হবিগঞ্জ জেলায় দু’টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয় এবং দুইজন বিজ্ঞ বিচারক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ফলে হবিগঞ্জ জেলায় তিনটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পরিচালিত হচ্ছে। উক্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইব্যূনালগুলোতে এডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম স্পেশাল পিপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তিনগুণ সরকারি ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পিপি মাসুম মোল্লার বিরুদ্ধে
অভিযোগের কপি।

তিনি একজন পিপি, তার কর্মদিবসও একটি। সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তিনি এক কর্মদিবসে একটি মামলার সম্মানী ভাতার বিল দাখিল করে একদিনের সম্মানী ভাতা উত্তোলন করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা না করে একই কর্মদিবসে তিনটি আদালতে তিনটি মামলার নম্বর দেখিয়ে তিনগুণ সম্মানী ভাতার বিল দাখিল করে প্রাপ্য সম্মানী ভাতার বিলের বিপরীতে তিনগুণ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করে আসছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়৷

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের জুন মাসে অন্যায় অবৈধভাবে পুনরায় তাহার প্রাপ্য সম্মানী বিলের টাকার তিনগুণ বিল দাখিল করিলে তৎক্ষনাৎ জেএম শাখা, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নজরে আসলে তার তিনগুণ দাখিলকৃত বিলের টাকা প্রদান না করে আটক করা হয়। তখন তিনি জেএম শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করে হুমকি দেন যে কি করে তার বিল আটকে দেয়া হল তা তিনি দেখে নিবেন।

তিনগুণ সরকারি ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পিপি মাসুম মোল্লার বিরুদ্ধে
অভিযোগের কপি।

অভিযোগকারী আইনজীবী সৈয়দ আফজাল আলী বলেন তিনি নিজেও একজন এপিপি। তিনিসহ অন্যান্য এপিপিগণ প্রতিদিন একাধিক আদালতে একাধিক মামলা পরিচালনা করলেও আইন অনুযায়ী এক কর্মদিবসে এক আদালতে এক মামলার নম্বর দেখিয়ে সম্মানী ভাতা উত্তোলন করেন। কিন্তু স্পেশাল পিপি মাসুম মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে তিনগুণ ভাতা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগঞ্জের উপ পরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, দুদক কার্যালয়ে সম্প্রতি দায়ের হওয়া অভিযোগটি এখনও তাঁর হাতে পৌঁছেনি। আগামী সভায় এ অভিযোগটি তাঁর হাতে আসবে এবং তদন্তপূর্বক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা। আমি একটি আদালতের ভাতা উত্তোলন করি।