জন্ম বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ভাটি অঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকা পাহাড়পুরে। যেখানে কিছু দিন আগে অবদি কারেন্ট পর্যন্ত ছিল না। পাহারপুরের এক মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম তার। বাবার নাম সুরঞ্জিত দাস। দাদুর নাম ডা. সুভাষ চন্দ্র দাস। মামুদপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (বর্তমানে সরকারি) প্রাথমিক পড়াশোনা এবং তারপর পাহাড়পুর বি.কে.পি. হাইস্কুলে।
বলতে গেলে তার ছোটবেলা গোটাটাই গ্রাম্য পরিবেশে কেটেছে। তাই ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত বাউন্ডুলে স্বভাবের ছেলে ছিল। পাড়ায় তার দুস্টুমির কেচ্ছা এখনও চর্চিত। তারপর সেই বাউন্ডুলে পনার কারণে হঠাৎ একদিন কলকাতায় চলে গেল। কলকাতার প্রতি একটা বিরাট টান অপুর ছোটবেলা থেকেই।
যখন কলকাতায় পৌঁছেছিল তখন এই শহরের প্রেমে পড়ে গেছে। আর ফিরে আসেত পারেনি নিজের দেশে। কয়েক বার আসা যাওয়া হয়েছে তার। ব্যাস বাদবাকি পড়াশুনা কলকাতায় শুরু। লেখা শুরু হয় সেই শহর থেকে। তবুও যখন লেখা-লেখি শুরু করে সেগুলো ডায়রির পাতাতেই লেখা থাকতো কাউকে যে পড়ে শোনাবে বা দেখাবে সেই সাহস ছিল না।
একটা জড়তা কাজ করতো তার। আর তখন একটা মানুষ তার এই জড়তা থেকে বের করে নিয়ে আসে। এবং প্রথমবার তার লেখা একটা ম্যাগাজিন এ প্রকাশ করে। ওইদিন প্রথমবার নিজের লেখাকে ছাপার অক্ষরে দেখে যে আনন্দ পেয়েছিল সেদিনের পর থেকে ওটা নেশায় পরিণত হয়ে যায়।
তারপর থেকে সে নিয়মিত ওই ম্যাগজিন এ লিখতে থাকে। ধীরে ধীরে নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখা শুরু করে। যেহেতু সিনেমার প্রতি একটা বিরাট টান ছিল এবং সত্যজিৎ রায়ের পরম ভক্ত সেখান থেকে সব লেখা বায়োস্কোপ ওয়ালা নামেই লিখত। তখনও জানত না যে বায়োস্কোপ ওয়ালার একটা বই হতে পারে কোনোদিন। তারপর দেখা গেল ফেসবুকে ধীরে ধীরে অপুর লেখা পড়তে থাকে, ওদের ভালো লাগতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বায়োস্কোপ ওয়ালার পরিচিতি বাড়তে থাকে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সবার প্রিয় হয়ে উঠে।
কবি হতে হয় কিভাবে সে হয় সেটা ভাল করে যেনে ফেলেছে। না হয় একা একা একটা ছেলে কখনো পারতো না কলকতা শহরে এত উপরে উঠার সিড়িতে। একা একা কলকাতা নিজের পরিচিত বানিয়ে নেয়া। সবার কাছে হয়ে উঠে একজন কবি।
গত ২৪শে জানুয়ারি তার লেখা প্রথম বই (চারমিনার) বাহির হয় এবং বইটির জনপ্রিয়তা পেয়ে বাংলাদেশে ভিন্ন জেলায় চারমিনার বইটি ২১শে বই মেলায় আসতে চলছে।