জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জের মাতৃমঙ্গলের আয়া যেভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন

আয়া হয়েও অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হবিগঞ্জ মাতৃমঙ্গলের চন্দনা রাণী সরকার।

এক অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য এছাড়াও তার সম্পর্কে জানা গেছে, চন্দনা রাণী সরকার হবিগঞ্জ মাতৃমঙ্গলে আসা রোগীদেরকে কেন্দ্র করে দুদক তথা দুর্নীতি দমন কমিশনের তালিকাভুক্ত এক সাবেক দুর্নীতি পরায়ন উপ-পরিচালকের ছত্র ছায়ায় লাখাই থানায় পোস্টিং থাকা সত্ত্বেও মাতৃমঙ্গলে থেকে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর যাবৎ সমগ্র জেলাব্যপী এক বিশাল সিজারিয়ান অপারেশন বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।

যার ফলস্বরূপ মাতৃমঙ্গলে কোন রোগী ঢুকা মাত্রই ওই সিজার লাগবে বলে তার নির্দিষ্ট প্রাইভেট হসপিটালে পাঠিয়ে দেন।

বিনিময়ে প্রতিটি সিজারের রেফারেল বাবদ কখনো কখনো সিজার প্রতি তিন হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। তবে এসব বিষয় নিয়ে হবিগঞ্জ মাতৃমঙ্গলের ডাক্তারসহ কেউই চন্দনার ভয়ে আলাপ করতে ইচ্ছুক নন তারা।

কেউই তার বিষয়ে কথা না কইতে চাইলেও একজনকে বিশেষ অনুরোধের পর নাম প্রকাশ না করার শর্তে, মাতৃমঙ্গলেরই চন্দনার এক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, চন্দনা প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি পর্যন্ত সিজার রেফারেল বাবদ চন্দনা রাণী সরকার প্রায়ই দিনে অর্ধলক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন।

ওই সূত্রটি আরো জানায়, চন্দনা রাণী সরকার এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে পাশ্ববর্তী এক দেশে বিনিয়োগ করে জায়গাসহ কয়েকটি বাড়ি কিনেছেন।

তাছাড়া চন্দনা রাণী সরকারের পোস্ট অফিসে সঞ্চয় পত্র, বিভিন্ন ব্যাংকে এফ,ডি, আরসহ বিপুল পরিমাণ টাকা জমা রেখেছেন।

পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার ১৭ (১) নম্বর ধারাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চন্দনা রাণী সরকার দুর্নীতি পরায়ন ওই সাবেক উপ পরিচালকের চেম্বারে অফিস টাইমেও তার সিজারিয়ান রেফারেল ব্যাবসা টিকিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত ডিউটি করে থাকেন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বর্তমান উপ-পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “অচিরেই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

চন্দনা রাণী সরকারের এমন অপকর্মের ব্যাপারে একজন সিনিয়র আইনজীবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন পূর্বক শাস্তির জন্য এই প্রতিবেদন প্রকাশের পত্রিকার কপি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পাশাপাশি দুদক, এনবিআর সহ বাংলাদেশ সরকারের তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

তাহলেই তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা যা%