হবিগঞ্জের কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্ত মাদক সম্রাট বড় বহুলার সৈয়দালীসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গাঁজা বহনকারী একটি পিকআপ গাড়ি ও বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার করলো বানিয়াচং থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ৩ মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মাদক আইনে মামলা দিয়ে বিকাল ৪টার দিকে হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেন পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যাবসায়ীরা হলো হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৫নং গোপায়া ইউনিয়নের বড় বহুলা গ্রামের কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্ত মাদক সম্রাট মৃত রশীদ মিয়া পুত্র সৈয়দ আলী( ৪৯)একই উপজেলার রাজনগর গ্রামের মৃত সাদ্দত আলীর পুত্র সাইদুর রহমান(৩২)ও চুনারুঘাট উপজেলার আদমপুর গ্রামের আক্কাস আলীর পুত্র আজিম উল্বা(২১)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৫ডিসেম্বর)গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন হবিগঞ্জ থেকে একটি পিকআপ গাড়ি দিয়ে কিছু মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ মাদক(গাঁজা)সাপ্লাই(বিক্রি)করতে বানিয়াচং থানার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের কাগাপাশা বাজার সংলগ্ন চকবাজার যাতায়াতের একটি রাস্তার মধ্যে মাদক বেচা কেনার জন্য অবস্থান করছেন।
এমন সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর নির্দেশে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই অমিতাভ দাস তালুকদার এর নেতৃত্বে এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার ও এসআই মঞ্জুরুলহকসহ একদল পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উক্ত স্থানে গিয়ে গাড়িটি আটক করে অভিযান চালান।
তাদের অভিযানকালে পিকআপ গাড়িতে থাকা বস্তার ভিতর থেকে পুলিশ তল্লাশি করে ১২কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন এবং উল্লেখিত জেলার মধ্যে এক নামে চিহ্নিত সাজাপ্রাপ্ত মাদক সম্রাট সৈয়দ আলীসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীদের গাঁজা বহনকারী পিকআপ গাড়িটিও জব্দ তালিকা তৈরী করে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে বানিয়াচং থানা পুলিশের হাতে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার হওয়া সৈয়দ আলী সম্পর্কে জানা যায়,তার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হিরোইন,ফেনসিডিল,ইয়াবা ও ভারতীয় মদসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে এই সৈয়দ আলীকে নিম্নেও অর্ধশত বার গ্রেফতার করেন জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়াও র্যাব এর হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছেন এই মাদক সম্রাট সৈয়দ আলী।
তার বিরুদ্ধে জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় রয়েছে শতাধিক এর মতো মাদক এর মামলা।
এমনকি বেশ কয়েকটি মাদকের মামলায় তারা সাজা হয় এবং কিছুদিন সাজা খেটে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
এবং যেই সেই শুরু হয় তার সব ধরনের মাদকের ব্যবসা।
তার এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য রয়েছো নিজস্ব একটা বাহিনী।
এমনকি তার এলাকা বড় বহুলায় রয়েছে একটি বাগান বাড়ি।
সেই বাগান বাড়িতে মাদকের জন্য নির্মান করে বিল্ডিং করে কয়েকটি ঘর। আর এসব ঘরে চলে পুরো জেলা থেকে আগত মাদক সেবীদের মাদক সেবন ও তাদের কাছে বেচাকেনার কার্যক্রম।
এমন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন পুলিশ প্রশাসনের লোকজনসহ সাধারণ জনগন।
এই মাদক সম্রাট সৈয়দ আলীকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের সকল সংস্থার সদস্যগন ও হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দাগন এক নামে সৈয়দ আলীকে মাদকের সম্রাট এবং গডফাদার হিসাবে চিনেন বলেও আজ অনেকের কাছ থেকে জানা যায়।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গাঁজাসহ গ্রেফতার ও মাদক আইনে মামলা দিয়ে হবিগঞ্জ আদালতের প্রেরন করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদকসহ সকল ধরনের অপরাধের অভিযুক্ত অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করতে দিন রাত পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
দাঙ্গা হাঙ্গামা ও সকল ধরনের অপরাধ রোধকল্পে পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করে পাশে থাকার আহবান করেন সমাজের সচেতন নাগরিকবৃন্দের প্রতি।