হবিগঞ্জ দারুচ্ছুন্নাত আলীয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে প্রেমের কারণে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই প্রেমিকাসহ এক যুবককে আটক করেছে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ। এ সময় তারা পুলিশের কাছে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। আর সবই সম্ভব হয়েছে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার তাৎক্ষনিক পদক্ষেপের কারণে।
জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ তেঘরিয়া গ্রামের হাজি আব্দুল হেকিমের পুত্র আলিয়া মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনির ছাত্র আরিফুর রহমান খোকন (১৮) কে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ নিয়ে যায় তার প্রেমিকা সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রামের জিতু মিয়ার কন্যা শাবনূর আক্তার (২০)। সেখানে যাবার পর শাবনূর জানতে পারে খোকন তার বান্ধবী বানিয়াচং উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের বর্তমানে হবিগঞ্জ শহরের সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের কন্যা সাবিনা আক্তার (১৪) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে খোকনের।
এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রমিকা শাবনূর ও সাবিনাসহ পোদ্দার বাড়ি এলাকার সোহেল মিয়ার পুত্র সুমন (১৮) প্রেমিক খোকনকে ১১ এপ্রিল হত্যা করে লাশ রুপগঞ্জ থানার বরাবু এলাকায় ফেলে রাখে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করলে ১২ এপ্রিল লাশটি রূপগঞ্জ এলাকায় দাফন করা হয়।
এদিকে পুত্রকে হারিয়ে পিতা আব্দুল হেকিম বিভিন্নস্থানে সন্ধান করতে থাকেন। কোথাও না পেয়ে তিনি নিরাশ হয়ে পড়েন। গত শনিবার রাতে তার বাড়ির পাশে মোবারক মিয়া নামের এক ব্যক্তির কাছে ফারজানা আক্তার নামের এক মেয়ে জানায়, খোকনকে হত্যা করা হয়েছে। এরপরই পিতা আব্দুল হেকিম বিষয়টি শুনে সদর থানায় এসে বিষয়টি জানান।
পরে এখানে কোনো প্রকার সাহায্য না পেয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লার নিকট যান। তিনি ডিবির ওসি আল আমিনকে দায়িত্ব দেন। মাত্র ২ ঘন্টার ভেতরেই তিনি হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত তিনজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ৷
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। পরে ডিবি পুলিশ রূপগঞ্জ থানার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লা জানান, রহস্য উদঘাটন হয়েছে। রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদেরকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।