হবিগঞ্জে টানা বৃষ্টি অপর দিকে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র পানির তোড়ে বাড়ছিলো হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি। সবগুলো পয়েন্টে পানি যদিও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তারপরও বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি কমায় জনমনে স্বস্তির চাপ দেখা গিয়েছে।
সরজমিনে হবিগঞ্জের মাছুলিয়ার ব্রীজ খোয়াই নদীর পানি দেখতে গিয়ে দেখা যায়, সকালে পানি ছিলো লেভেল ১৩ এখন তা কমে ১০.৯৫ লেভেলে রূপান্তরিত হয়েছে। যার ফলে হবিগঞ্জবাসী কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। তারপরও আশঙ্কা থেকে যায় কেউ কেউ বলেছেন।
হবিগঞ্জ শহরের মাছুলিয়ার শাহিন নামে এক ব্যক্তি জানান, ফজরে আগ মূহুর্তে নদীর পানি বেড়েছিলো, বৃষ্টির ফলে এখন আপাতত বৃষ্টি হচ্ছে না তাই নদীর পানি কমতেছে ; একটু স্বস্তিতে আছি আমরা, আবার ভয় হয় যদি বৃষ্টি বাড়ে তাহলে পানি আবার বাড়তে পারে।
অপর দিকে হবিগঞ্জ সদর গোপায়া বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন নদীর বাঁধ কয়েক স্থানে গর্ত হওয়ার ফলে গ্রামের মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করেছিলো, তারা রাত থেকে নিজেরাই সর্বাত্মক চেষ্টায় বাঁধ পুণনির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
সরজমিনে গ্রামের মানুষের সাথে আলাপকালে তারা জানান, গোপায়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, এবং সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে তারা সহযোগিতা পান এবং যার ফলে তারা পূনরায় বাঁধ নির্মাণ করতে সক্ষম হন। তবে গ্রামের মানুষ দুইদিন ধরে তারা বাঁধে পাহারা দিচ্ছেন এবং দিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ হবিগঞ্জ নিউজ কে জানান, হবিগঞ্জের বর্তমান অবস্থা এখন ভালো, সব দিক থেকে পানি কমতেছে, তবে হবিগঞ্জের বাল্লা সীমান্তে পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সর্বশেষ ২২ই আগষ্ট বৃহস্পতিবার বেলা ৩ ঘটিকার পাউবোর রিপোর্ট অনুযায়ী খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে বিপদসীমা ২৭৯, শায়েস্তাগঞ্জে ১৭০ ও মাছুলিয়া পয়েন্টে ১৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
আজ সকালেও হবিগঞ্জ শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা তথ্য অফিস থেকে থেকে নাগরিকদের জান-মাল রক্ষার্থে সবাইকে নির্দেশনা মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে।