মরণ ব্যাধি ‘করোনা ভাইরাস’ আক্রান্ত সন্দেহে হবিগঞ্জ শহরের রায়হান আহমেদ (২৮) নামে এক যুবক কে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
জানা যায় রায়হান আহমেদ চীন থেকে ফেরত আসা মেডিকেল শিক্ষার্থী। তাকে নিয়ে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চলছে তোলপাড়।
চিকিৎসক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোগি ও স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। পুলিশ প্রহরায় বিশেষ ওয়ার্ডে রেখে করা হচ্ছে পর্যবেক্ষন। রায়হান আহমেদ হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার আব্দুন নূরের পুত্র। তিনি চীনে মেডিকেল ইন্টার্নি কোর্স করতে গিয়েছিলেন।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার পর গত ১ই ফেব্রুয়ারী চীনের উহান প্রদেশ থেকে দেশে ফিরেন ৩১৬ জন বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে রায়হান আহমেদও ছিলেন।
দেশে ফেরার পর অন্য সবার মতো তিনিও মেডিকেল চেকআপ-এর জন্য রাজধানীর আশকোণা হজ্ব ক্যাম্পে ছিলেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৫ ফেব্র“য়ারী শনিবার সবার সাথে রায়হান আহমেদকেও শর্ত সাপেক্ষে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে তিনি অসুস্থ্যতাবোধ করলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় তাকে ঘিরে শুরু হয় তোলপাড়। চিকিৎসক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোগি ও স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
অনেক রোগি ও স্বজনকে তখন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতেও দেখা যায়। তবে রায়হান বার-বার দাবী করছিলেন তিনি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত নন। একপর্যায়ে তিনি আতঙ্ক কমাতে চিকিৎসা না নিয়েই বাসায় ফিরে যান।
এদিকে, বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ প্রশাসনের। সন্ধ্যার পর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ রায়হান আহমেদকে বাসা থেকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে তাকে পর্যবেক্ষনে রাখার জন্য পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালের বিশেষ (করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের জন্য খোলা) ওয়ার্ডে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- ‘রায়হান আহমেদকে সদর হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পরীক্ষা সরঞ্জাম না থাকায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কি-না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তার রক্তের সিম্পল ঢাকায় পাঠানো হবে।’ তিনি বলেন- ‘যেহেতু তাকে আশকোণা হজ্ব ক্যাম্পে দীর্ঘদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সেহেতু তার শরীরে করোনা ভাইরাস থাকার আশঙ্কা নেই।’