নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপি’র প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে প্রায় আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় পৃথক সময়ে মামলাগুলো দায়ের করেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার তৈয়ব আলী, শহরের শায়েস্তানগর এলাকার আওয়ামীলীগ কর্মী মোঃ আশরাফ আহমেদ হারুন ও শহরের যশেরআব্দা এলাকার জনাব আলী।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, গত রোববার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে বিকেলের দিকে শহরের জে কে এন্ড এইচ কে স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপি’র প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছ তার সমর্থকদের নিয়ে হামলা চালান। এ সময় জি কে গউছ আওয়ামী লীগ কর্মীদের মারপিট করে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের জন্য তাঁর কর্মীদের নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ পেয়ে বিএনপি কর্মীরা কেন্দ্র হামলা চালায় এবং ককটেল বিষ্ফোরণ করে। শুধু তাই নয়, ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা পালিয়ে যায়।
পরে বিকেল ৩টার দিকে আবার গোপায়া ইউনিয়নের তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দুপুর দেড়টার দিকে শহরের যশেরআব্দা এলাকার সওদার কৃষ্ণধন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান মামলার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে গউছ বলেন- ভোটের দিন প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত পুলিশের একটি টিম সার্বক্ষনিক আমার সাথে ছিল। আমি পুলিশ টিম ছাড়া এক সেকেন্ডের জন্যও কোথাও যাইনি। তেতৈয়া ভোট সেন্টারে আমি যাইনি, শহরের জেকে এন্ড এইচ কে হাইস্কুলের ভোট সেন্টারের ঘটনার সময় আমি ছিলাম পইল এলাকায়। মামলার ঘটনার সাথে কোন অবস্থাতেই আমি সম্পৃক্ত নই। ভোটের দিন আওয়ামীলীগ যে অপকর্ম করেছে মানুষ তা ঘৃনাভরে প্রত্যাক্ষাণ করেছে। শুধুমাত্র মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফিরানোর জন্যই আমার বিরুদ্ধে ৩টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন- আমার উপর যে জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে তার বিচার আমি হবিগঞ্জবাসীর নিকট দিলাম। আমি আপনাদের কাছে এই অন্যায়ের বিচার চাই। ইনশাআল্লাহ, আপনাদের দোয়ায় আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সকল মামলা থেকে আমি মুক্ত হবো।