হেফাজতে ইসলামের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে সারাদেশের মতো চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। আজ রবিবার (২৮ মার্চ) হবিগঞ্জ শহর সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হেফাজতের নেতা কর্মীরা এই হরতাল পালন করছেন৷ তবে সড়কে ও দোকানপাটে এর তেমন প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
হবিগঞ্জ শহরের ধুলিয়াখাল, উমেদনগর সহ বিভিন্ন পয়েন্টে হেফাজতের কর্মীরা অবস্থান নিয়ে হরতাল পালন করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে চলছে পুলিশের শক্তিশালী টহল। দোকানপাট ও গাড়ী চলাচল মোটামোটি স্বাভাবিক থাকলেও বেশ জোরেসরোই বিভিন্ন উপজেলায় হরতাল পালন হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ হেফাজত আমিরের পক্ষে ঢাকা মহানগর হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক হরতালে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারীসহ সারাদেশে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা ও পাঁচ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচিও ঘোষণা করে হেফাজত।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে শনিবার (২৭ মার্চ) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলাম। তবে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি পুলিশ। সেখানে হেফাজতের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, বায়তুল মোকাররমে বর্বর হামলা করে রক্ত ছড়িয়েছে। আমরা বাধ্য হয়েছি হরতাল দিতে।
সমাবেশে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, জনতা মাঠে নামলে হেলমেট বাহিনী পালানোর পথ পাবে না। আমরা স্বাধীনতা দিবসে কোনও কর্মসূচি দেইনি। কিন্তু হরতাল দিতে বাধ্য হয়েছি। হরতালে বাধা দিলে গোটা বাংলাদেশে আবার যুদ্ধ হবে।
এদিকে হরতালের সমর্থনে শনিবার দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ করেছে হেফাজত কর্মীরা। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত পাঁচ জন হেফাজতকর্মী নিহত হন। বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর এবং সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় পৃথক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা রবিবারের (২৮ মার্চ) হরতালে ঢাকা শহর ও শহরতলী এবং আন্তঃজেলা রুটে বাস, মিনিবাস চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। শনিবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ তথ্য জানান।