জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জে পিতা হত্যার বছর পেরিয়ে গেলেও আসামি অধরা

হবিগঞ্জের শুক্কুর আলী হত্যার বছর পেরিয়ে গেলেও দুই আসামি রয়ে যায় অধরা এমনকি তারা দেশ ছেড়েও পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে শুক্কুর আলীর কলেজ পড়ুয়া কন্যা মামলার বাদী আসামিদের গ্রেফতার করতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে শুকুর আলীকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন।

তারপর এই হত্যার ঘটনায় শুক্কুর আলী কলেজ পড়ুয়া কন্যা(সীমা আক্তার) সদর থানায় ১০জন নামীয় এবং অঞ্জাত ৫/৬জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন গত বছরের ১৭ আগষ্ট।

মামলা দায়েরের পর পুলিশ এজাহার নামীয় কিছু সংখ্যক আসামি গ্রেফতার করলেও ২নং ও ৩নং আসামি গ্রেফতারে শংকিত মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজন।

তাদের কাছ থেকে আরও জানাযায়,হত্যা মামলার পর থেকে ২নং আসামি তামিম রহমান ও ৩নং আসামি মহসিন মিয়া তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

দীর্ঘ প্রায় ১ বছরেও ওই আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ফলে মামলার ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত আছেন বাদি।

মামলার অভিযোগে দেখা যায়,ওই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে নিহত শুকুর আলীর সঙ্গে তার চাচাতো ভাই এরশাদ আলীর জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়।

কিন্তু কোন প্রকার সমাধান না হলে দিন দিন বিরোধ মারাত্মক আকার ধারণ করে।এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও চলমান ছিলো।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৭ আগষ্ট সকালে শুকুর আলী(৫৫)জমিতে কাজ করতে গেলে একই গ্রামের মৃত সমন আলীর পুত্র সফর আলী,ছাদেক মিয়া, জাকির মিয়া, শাহজাহান ও শাকিল মিয়াসহ ১০/১৫ জন লোক ফিকল দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হত্যা করে।

তারপর এ ঘটনায় পিতা হত্যার দায়ে কন্যা সীমা আক্তার বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ইতোপূর্বে এই মামলায় বেশ কয়েকজন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলেও জানাযায়।

কিন্তু তামিম রহমান ও মহসিন মিয়াকে অদ্যাবদি গ্রেফতার না করায় বাদি ও তাদের পরিবার আতংকিত অবস্থায় রয়েছেন।

তাই তারা বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনসহ গোয়েন্দা সংস্থার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করে এই দুই আসামিকে দেশের বাহিরে থাকলেও খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোরদাবী জানিয়েছেন।

এ নিয়ে মামলার ভবিষ্যত শংকিত আছেন বাদি ও পরিবারের লোকজন।