জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জে প্রতি ঘন্টায় ১ জনেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত

এম এ মজিদঃ হবিগঞ্জে প্রতি ঘন্টায় ১ জনেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টার রিপোর্টে এ তথ্যই উঠে আসে। শনিবার ২৪ ঘন্টায় প্রথমে ৫ জন, পরে ২০ জন, তারপর ১জনসহ মোট ২৬জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগ।

এর আগে ১৫ দিনে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ২১ জন, ১৫ দিনের সংখ্যা ১ দিনেই অতিক্রম করেছে হবিগঞ্জে।

এদিকে সিলেটে অটো রিক্সা চালক হবিগঞ্জের নিজামপুরের এক যুবক করোনার উপসর্গ নিয়ে সিলেট শামসুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেছেন। তাকে শনিবার রাতে করোনা নীতি মেনে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। জানাযায় সিলেট থেকে আসা ৪জন অংশ গ্রহণ করেন।

এরপরই মৃত্যু বরণ করেন করোনা আক্রান্ত চুনারুঘাটের চা বাগানের ৫ বছরের এক শিশু। দুই দিন আগে তার করোনা শনাক্ত হয়। তাকেও করোনা নীতি মেনে সৎকার করা হচ্ছে।

একদিনে হবিগঞ্জে যে ২৬জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ১জন ডাক্তার, ২জন নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান ২জন, এ্যাম্বুলেন্স চালক ২জন, আয়া ঝাড়ু দার ২জন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন কর্মচারী, জেলা প্রশাসনের ১জন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, ২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, ১জন নাজির রয়েছেন। তাছাড়া চুনারুঘাট উপজেলার ৪ জনের মধ্যে ১জন ডাক্তার রয়েছেন। বাকীরা লাখাই, মাধবপুর ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা।

হবিগঞ্জের যখন এই অবস্থা এরই মধ্যে জেলার হোটেল রেস্তোরা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে জেলার বেশির ভাগ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্ষোভের মুখে রবিবার দুপুর ১১টার দিকে হোটেল রেস্তোরা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন জেলা প্রশাসক। হবিগঞ্জ জেলাকে এখনও লক ডাউন ঘোষনা না করার তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

তবে এতো সব আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংবাদের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবন যাপন চলছে হবিগঞ্জে। বাজারে ভিড় কমেনি। রাস্তাঘাটেও মানুষের ঝটলা দেখা যায় রবিবার সকাল থেকেই।

এদিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের গরম পানি ব্যবহারের জন্য কিছু ফ্লাক্স দিয়েছে করোনা রোগীর সেবায় নিয়োজিত “ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সচেতন নাগরিক কমিটি” নামে একটি সংগঠন।

কমিটির সদস্য এডভোকেট সৈয়দ সামাউন বখত জানান- করোনা রোগীকে ভিন্ন চোখে দেখা হয়। আমরা করোনা নীতি মেনে তাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদা পূরনের চেষ্টা করছি। কমিটির আহবায়ক চৌধুরী মিছবাহুল বারী লিটন, সদস্য সচিব চৌধুরী ফরহাদসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ সিভিল সার্জন অফিসে করোনা রোগীদের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেন।