জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জে ‘বাইশ গজের রাজা’ তৌফিক আহসান

আজহারুল ইসলাম চৌধুরী মুরাদঃ ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখন পর্যন্ত আটটি ডাবল সেঞ্চুরি দেখেছে। প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সাবেক ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকার। সর্বোচ্চ ২৬৪ রানের ইনিংসটাও আরেক ভারতীয় রোহিত শর্মার। ৩০০ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করাটা সত্যিকার অনেক দুরুহু ব্যাপার।

বাংলাদেশে ৫০ ওভারের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি কোন ব্যাটার করেছি কিনা, তা ঠিকমত জানা যায়নি।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার ৫০ ওভারের ম্যাচে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৫১, দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৩৪৪ ও সর্বোচ্চ ৩২৬ রানে জয়ের স্বাক্ষী হয়ে থাকলো হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়াম।

অনুশীলন ক্রিকেট ক্লাবের উদ্বোধনী ব্যাটার তৌফিক আহসান ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৫১ রানের ইনিংস খেলেছে। ১৭২ বলের ইনিংসে ১২টি ছয় ও ২২টি চার দিয়ে সাজানো ছিল। তৌফিকের এই অতিমানবীয় ইনিংস থামে ৪৮.৩ ওভারে।

অনুশীলন ক্রিকেট ক্লাবের ৪৩৩ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হৃদয় দেবও সেঞ্চুরি (১১১) করেছেন। অনুশীলন ক্রিকেট ক্লাবের ৪৩৩ রানের বিশাল পাহাড়ের চাপায় নবজাগরণ ক্লাব মাত্র ১১৩ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে ৩২৬ রানের সর্বোচ্চ রানে জয়ের রেকর্ড গড়লো অনুশীলন ক্রিকেট ক্লাব।

মুঠোফোনে তৌফিক আহসানের অনুভূতি জানতে চাওয়া হয় অনুশীলন ক্রিকেট ক্লাবের উদ্বোধনী ব্যাটার তৌফিক আহসানের কাছে। তৌফিক বলেন, ‘আমি আনন্দিত। জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি এসেছে ডাবল সেঞ্চুরির মাধ্যমে। সবকিছুই আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা।’

দলের এই অর্জনের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অনুশীলন ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি মো. বদরুল আলম। তিনি বলেন, এটা আমাদের ধারাবাহিকতার ফসল। আমরা টানা তিন ম্যাচ ধরে জয়ের ধারায় আছি। এর আগের তিন ম্যাচে ব্যাটাররা ভাল খেললেও কেউ সেঞ্চুরির দেখা পায়নি। তাই ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। এবারের লীগে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তৌফিক এর আগের দুই ম্যাচে করেছিলেন ৪৪ ও ৬৪। বৃহস্পতিবারের খেলায় আরেক সেঞ্চুরিয়ান হৃদয় দেব আগের দুই ম্যাচে করেছিলেন ৭৬ ও ৩৫।’

হবিগঞ্জের মাঠে এবারের ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগে তৌফিক ও হৃদয় ছাড়াও আরো ৪টি সেঞ্চুরি হয়েছে। দলীয়ভাবেও বড় বড় ইনিংস দেখা যাচ্ছে। যা এর আগে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল আলম ও ক্রিকেট উপ-কমিটির সেক্রেটারি মঈন উদ্দিন তালুকদার সাচ্চু জানান, নতুন কমিটি দায়িত্ব নেবার পর পিচ ও মাঠকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। গাজীপুর থেকে পিচের মাটি আনা হয়েছে। একই মাটি দিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠের পিচও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে দুটি পিচ তৈরি করা হয়েছে।