জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জে শীত বাড়ার সাথে শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে

প্রকৃতিতে শীত বাড়ার সাথে সাথে হবিগঞ্জের সর্বত্র জেঁকে বসতে শুরু করেছে প্রচন্ড শীত। ঘণ হীমেল কুয়াশার আড়ালে ঢাকা পড়েছে জনজীবন।

গত কয়দিন থেকে সকাল এগারোটার আগে সূর্যের দেখা মেলেনা। ভোরবেলা হীমেল প্রকৃতির মাঝে ছন্দায়িত মৃদু বাতাসের অনুরণনে বহুগুণে বৃদ্ধি পায় শীতের তীব্রতা। পৌষ মাসের শুরুতেই শীত জেঁকে বসতে শুরু হয়েছে।

অগ্রহায়ন মাসের শেষের দিকে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করলেও এখন তা তীব্র রূপ ধারণ করছে। পৌষের প্রারম্ভেই ভোরে ঘণ কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পরিবেশ।

গাছের ডালে মাকড়সার বোনা জালে জমে থাকা শিশির বিন্দু এক অপরূপ সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটায়। সীম গাছের লতায় আর দুর্বাঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু কবি মনে কাব্যিক ছন্দের জন্ম দেয়।

জেলার শহর ও গ্রামে এরই মধ্যে নতুন পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম পড়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং বাজার, আলীগঞ্জ বাজার, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার মার্কেট ফুটপাথ, পুরাণবাজার ও শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রীজ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যা নেমে এলেই শীতবস্ত্রের দোকানে ও ফুটপাথের দোকানে ক্রেতাদের ভীড় বাড়তে থাকে।

যে যার মতো করে কিনে নিচ্ছেন শীত নিবারণ বস্ত্র। ইদানিং ফুটপাথের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের ক্রেতার পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও দেখা যাচ্ছে।

শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন এলাকার রেল লাইনে স্থাপিত অস্থায়ী দোকানে শীতবস্ত্র ক্রয় করতে আসা ফল ব্যবসায়ী ছায়েদ মিয়া জানান, “অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার পুরাতন শীতের কাপড়ের দাম একটু কম। তাই কয়েকটি কিনতে পেরেছি।”

শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাধীন দাউদনগর বাজারের পৌর মার্কেটে গিফট দেয়ার জন্য পোশাক ক্রয় করতে আসা দাউদনগর বাজার রেলগেইট এলাকার মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব আলীর কন্যা রোকেয়া খাতুন বলেন, “মার্কেট ঘুরে দেখতে পাচ্ছি শীতকালে ব্যবহারের পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে। রকমারী ডিজাইনের দৃষ্টি নন্দন শীতের কাপড় সাজানো রয়েছে দোকান গুলো। এগুলোর মূল্যও নাগালের মধ্যে, তাই শীতের কাপড়ই ক্রয় করেছি।”

শায়েস্তাগঞ্জ পুরানবাজার নতুনব্রীজ এলাকার গোলচত্বরে প্রতিদিন সান্ধ্যকালীন বাজার বসে। সেখানে রকমারী খাবারের দোকানের পাশাপাশি নতুন পুরাতন পোশাক বিক্রির দোকানও বসানো হয়।

সেখানে থাকা মঞ্জুরুল হক, ফারুক নামক ক্রেতারা জানালেন, “এখন করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে লোক সমাগম কিছুটা কম, তাই পছন্দ মতো সাশ্রয়ী মূল্যে শীতবস্ত্র ক্রয় করতে পারছেন।”

সান্ধ্যকালীন বাজারের পোশাক বিক্রেতা রফিক মিয়া বলেন, “করোনাকালীন ব্যবসা খুব ভালোনা, তবে কিছুদিন থেকে এলাকায় শীত বাড়ার সাথে সাথে আমাদের বিক্রিও কিছুটা বেড়েছে।”