হবিগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের নানাবিধ সমস্যা নিরসনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রকৃত ঘটনা কি তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে।
এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের শুনানি আগামী ২২ নভেম্বর বিকাল ৪টার সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে।
পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন হওয়ার কথা।
এরই প্রেক্ষিতে গত ১৭ ডিসেম্বর ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিক্রয়ের শেষ দিন কিন্তু নানাবিধ জটিলতার অভিযোগ এনে ওই দিন অফিস চলাকালীন সময়ে কোন ধরনের মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়নি।
তবে হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের একপক্ষের দাবি করেছেন ওই দিন মনোনয়নপত্র বিক্রয় হয়েছে এবং ২১ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন।
২১ শে নভেম্বর সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই দিনও কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মোতাচ্ছিরুল ইসলাম জানান, আগামীকাল শুনানির পরে বোঝা যাবে বাস্তবতা কি।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের সূত্র ধরে জানা যায়, প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ না করে একটি পক্ষের প্রতিনিধি হয়ে মনগড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে আপিল বোর্ডের ২জন সদস্য এডভোকেট আব্দুল মোছাব্বির বকুল ও এম এ সালামগত ৩ অক্টোবর পদত্যাগ করেন।
আরো উল্লেখ করেন যে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শাকিল মোহাম্মদ নিজেই জালিয়াতি কাগজের মাধ্যমে সদস্যপদ গ্রহন করেন। যা আইনতঃ দন্ডনীয়।
তার ধারণা অনেক বৈধ ভোটারকে বাদ দিয়ে তালিকায় অনেক নতুন ভোটারকে অবৈধ ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। বিতর্কিত ভোটার তালিকা দিয়ে হবিগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচন সুষ্ট ও নিরপেক্ষ হবে না।
মোতাচ্ছিরুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে ৫৬৪ জন অর্ডিনারী ও ২৪৯ জন এসোসিয়েট সদস্য রয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান শাকিল মোহাম্মদ ১১২ জন বৈধ সদস্যকে বাদ দিয়ে সদস্যপদ নবায়ন করেননি এমন লোকজনকে ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করেছেন।