শরিফ চৌধুরী: করোনা ভাইরাস আক্রান্তে সিলেট বিভাগের হটস্পট এখন হবিগঞ্জ জেলাকে বলা হচ্ছে৷ গত ৩ দিনে ১৮ জন শনাক্ত হওয়ার খবরে আতংকিত হয়ে গেছেন জেলার মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, নারায়ণগঞ্জকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে করো’না ভাই’রাসের এপিসেন্টার (উপকেন্দ্র)। হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কাজ করেন। নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর প্রতিদিন দলে দলে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসে করে এসব শ্রমিক হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় নিজ বাসস্থানে এসেছেন।
বিশেষকরে আজমিরিগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাইয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত মানুষ এসেছে বেশি৷ এরা হোমকোয়ারেন্টিন না মানায় এর খেসারত এখন দিতে হবে পুরো হবিগঞ্জ জেলাবাসীকেই৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হবিগঞ্জের এক চিকিৎসক জানান, হবিগঞ্জের কয়েকটি এলাকা আছে এখানে ১ হাজার জনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করলে ৮শ’জনই আক্রান্ত পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, হবিগঞ্জের ১৮ জন বাদে সিলেটের অন্য ৩ জেলায় করোনা পজিটিভ এসেছে মাত্র ৮ জনের। তার মধ্যে মা’রা গেছেন ডা. মঈন উদ্দিন ও মৌলভীবাজারে এক ব্যক্তি। আক্রান্ত ৫ জন শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হবিগঞ্জে সোমবার সিলেটের ল্যাব থেকে ডাক্তার-নার্সসহ ১০ জনের করোনায় পজিটিভ এসেছে৷ মঙ্গলবার এসেছে আরো ২ জনের পজিটিভ৷ বুধবার এসেছে আরো ৫ জনের পজিটিভ৷ এর মধ্যে লাখাই উপজেলায় ৫ জন, বানিয়াচঙ্গে ৩ জন, বাহুবলে ৩ জন, আজমিরিগঞ্জে ১ জন ও চুনারুঘাট উপজেলায় ২ জন এবং মাধবপুর উপজেলায় ২ জন রয়েছেন। সর্বশেষ ৫ জন নিয়ে হবিগঞ্জে মোট ১৮ জন করোনায় আ’ক্রান্ত হলেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবারের ১০ জনের মধ্যে নার্স ছাড়া সবাইকেই হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে৷ আর মঙ্গলবারের যে আরো ২ জন শনাক্ত হয়েছেন, তাদেরকের আনা হয়েছে৷ বুধবারের ৫ জন তাদের নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে।