২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ২:০০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহক

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে গ্রাহকের নামে আগষ্ট মাসে অধিকাংশই ভুতুড়ে বিল এসেছে।

জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। নিয়মিত আসা বিদ্যুৎ বিলের দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনেকেই বিদ্যুৎ অফিসে দ্বারস্থ হচ্ছেন।

এ ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে কেউ কেউ পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি করছেন। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষ বলছে , গত মাসে গরম থাকার কারণে এমন বিদ্যুৎ বিল এসেছে ।

অনুসন্ধানে দেখা যায় , হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনস্থ ভৌগোলিক এরিয়া প্রায় সাড়ে ৪ লাখ এর বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে । এর মধ্যে ৪টি উপজেলায় ২৪ টি চা বাগান , সরকারি – বেসরকারি অফিস , রেলওয়ে স্টেশন সহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা রয়েছে ।

গ্রাহকদের আগষ্ট মাসে অধিকাংশ বিদ্যুৎ বিলে দেড় থেকে দ্বিগুণ টাকা এসেছে ।

যেমন – ২শ থেকে ২৫০ টাকা বিদ্যুৎ বিলে ১ হাজার ২ শ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে।

এ মাসে ভয়াবহ বন্যার কারণে অনেক উপজেলার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও আর্থিক অস্বচ্ছতা দেখা দিয়েছে । এর মধ্যে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল ‘ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা ‘ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন ।

দেওয়ান আব্দুল ওয়াদুদ নামে এক গ্রাহক বলেন , আমার প্রতিবেশির মিটারে ১২২০ ইউনিট দেখা গেল । বিদ্যুৎ বিলে দেখা যায় , ১৩০০ ইউনিট। এভাবে বেশি বেশি লিখে দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ।

শায়েস্তাগঞ্জে এক ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া বলেন , প্রতি মাসে ৬শ থেকে ৮শ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে । অথচ এ চলতি আগষ্ট মাসে ১ হাজার ৬শ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে।

নির্মল কানু নামে লাল চান্দ চা বাগান এলাকার একজন গ্রাহক জানান , গত মাসে ২শ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। এ মাসে ১ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে ।

বিশাল গুপ্তা নামে আরেকজন গ্রাহক বলেন , বিদ্যুৎ বিল কম আসবে বলে বাসায় দু’টি মিটার লাগিয়েছি। এখন দেখা যায় , আগের চেয়ে আরো বেশি বিদ্যুৎ বিল আসে ।

শামসুল হক নামে এক গ্রাহক বলেন , বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ভুতুড়ে বিল বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে, তারা বলেন আগামী মাস থেকে ঠিক হয়ে যাবে বলে কর্মকর্তা – কর্মচারীরা আশ্বস্ত করেন ।

এভাবে হবিগঞ্জ জেলার লক্ষ লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহক ভুতুড়ে বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ।

বানিয়াচং উপজেলার সায়েদ আলী , রফিক মিয়া , মওদুদ আহমেদ , মুখলিছ মিয়া সহ কয়েকজন বিদ্যুৎ গ্রাহক বলেন , বন্যায় এ ক্রান্তিকালে আমাদের অনেকেরই ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে । কোনো কোনো সময়ে মিটার রিডিং ও ঠিক দেখা যায় । অথচ অন্য সময়ের তুলনায় এ মাসে দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল এসেছে । এটি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এসন বিষয়ে প্রতিকার করা প্রয়োজন বলে তারা দাবি জানান ।

তবে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ বিষয়ে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শায়েস্তাগঞ্জ সদর দপ্তর সহ প্রতিটি উপজেলায় জোনাল অফিসে কর্মকর্তা – কর্মচারীরা বলেন , ‘ আসলে গত মাসে প্রচুর গরম ছিল । দিনরাত ফ্যান চলছে । সে কারণে কারো কারো বিদ্যুৎ বিল বেশি আসতে পারে । তাছাড়া কোনো গ্রাহকের যদি ভূল ক্রমে বিদ্যুৎ বিল বেশি হয়ে থাকে , তাহলে মিটার রিডিংয়ের ভিডিও নিয়ে অফিসে আসলে সেটি দেখে সংশোধন করে দেওয়া হবে ।