জুয়েল চৌধুরীঃ হবিগঞ্জ শহরের পরিচিত মুখ পশু প্রেমিক হারুন মিয়া। ১২ বছর বয়স থেকে রিকশা চালিয়ে তার জীবন চলে। যদিও অভাব অনটনের কারণে লেখা পড়া করতে পারেনি তবুও পশু পাখি নিয়ে তার জীবন কাটে।
কোনো স্থানেই অসুস্থ পশু পাখি দেখলেই তার রিকশা চালিয়ে সুস্থ করে তাদের লালন পালন করে। রিকশা চালিয়ে যে টাকা আয় করে তা দিয়ে পশু পাখির খাবার কিনে খাওয়ায়।
গত ৩০ মার্চ হবিগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে তার শেষ আশ্রয়স্থল মোহনপুর এলাকার চাপটা ঘর তছনছ করে দেয়। সে মোহনপুর এলাকার বশুর উদ্দিনের পুত্র। সে পশুপাখি নিয়ে ত্রিপাল টানিয়ে বসবাস করছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে এ প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপকালে সে আক্ষেপ করে বলে আমার একটি প্যাডেলের রিকশা ছাড়া আর কিছুই নেই। রিকশা চালিয়ে যে টাকা আয় করি তা দিয়ে আমার সংসার ও পশুপাখির খাবার চলে।
তার বেশি কিছু চাওয়ার নেই। তার দুটি শিশু ও স্ত্রী রয়েছে। বর্তমানে সে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। বর্তমানে তার একমাত্র চাওয়া হচ্ছে মাথাগোজার জন্য একটি ঘর।
যদি কেউ তার ঘর নির্মাণে সহায়তা করেন তবে স্ত্রী-সন্তানের পাশাপাশি পশুপাখি নিয়ে বাকী জীবন কাটাতে পারবে। এ জন্য সে সকল বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চাচ্ছে।