জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানে বারবার চুরির প্রতিবাদে টানা ২য় দিনের সড়ক অবরোধ 

received 3640851326155468হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘন ঘন চুরির প্রতিবাদে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে টানা ২য় দিনের মত বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। এ সময় প্রধান সড়কে প্রায় ২ ঘন্টা যাবত যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাস্তার দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

ব্যবসায়ীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী আশিক। এছাড়াও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম আওয়াল, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. চৌধুরী ইশতিয়াক রাজ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবু হাসিব খান চৌধুরী পাবেল, প্রেসক্লাব যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

অবরোধচলাকালে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল ইসলাম অবরোধস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ীদেরকে আস্বস্থ করে তিনি বলেন, পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন ছুটিতে আছেন। ২ দিনের মধ্যে তিনি আসবেন। তখন আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় বসবো। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাম্প্রতিককালে
হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘনঘন চুরি সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পরও তেমন কোন কার্যাকরি প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি পুলিশ।

শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের টাউন হল রোড এলাকায় অবস্থিত গেজেট হবিগঞ্জ নামের মোবাইল ফোনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি চুরি হয়। চোরেরা নগদ টাকা, মোবাইলসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এর প্রতিবাদে টানা ২য় দিনের মত আজ ৩১ মার্চ রবিবার দুপুর ২ টা থেকে শহরের প্রধান সড়ক টাউন হল রোড এলাকায় রাস্তায় বসে অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের ফলে প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধে ২ ঘন্টারও বেশি সময় যানচলাচল বন্ধ থাকে। ফলে শহরজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকেও ব্যবসায়ীরা একইভাবে অবরোধ করে রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির সংঘটিত হলেও পুলিশ কোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে না। ফলে বাধ্য হয়েই ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমেছেন।
গেজেট হবিগঞ্জ প্রতিষ্টানের স্বত্বাধিকারী আরাফাত চৌধুরী জানান, আমার দোকান এখন পর্যন্ত ৩ বার চুরি হয়েছে। একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান যদি ৩ বার চুরি হয়, তাহলে আর কিভাবে ব্যবসায় করা যায়। আজ ২য় দিনের মত আমরা এই অবরোধ পালন করেছি আমরা।

হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর দেওয়ান জানান, এ পর্যন্ত গেজেট হবিগঞ্জ ব্যবসায় প্রতিষ্টানটি ৩ বার চুরি হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমাদের আস্বস্থ করেছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি আরো জানান, পুলিশ আমাদের কথা দিয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত হবে। তাই আমরা এই অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করছি।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল ইসলাম অবরোধ স্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি নিজেও একজন ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। আমি বুঝি একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান চুরি হলে একজন ব্যবসায়ীকে কতটা সমস্যায় পরতে হয়। তিনি বলেন পুলিশ সুপার বর্তমানে ছুটিতে আছেন। ২ দিন পর তিনি আসবেন। তখন আমরা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সহ ব্যবসায় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আলোচনায় বসব। তদন্ত স্বার্থে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করবো৷