জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

হবিগঞ্জ শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একের পর চুরির প্রতিবাদে ৪ ঘন্টা প্রধান সড়ক অবরোধ

received 958036092012069হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক চুরির প্রতিবাদে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কে প্রায় ৪ ঘন্টা যাবত যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, ইদানিং শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘনঘন চুরি সংঘটিত হয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হলেও কোন কার্যাকরি পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন অসাধু পুলিশের যোগসাজশে এসব চুরি সংঘটিত হচ্ছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের টাউনহল এলাকার মোবাইল ফোনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গেজেট হবিগঞ্জে চুরি সংঘটিত হয়। চোরেরা নগদ টাকা, মোবাইলসহ প্রায় ও ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিজে যায়।
এর প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টা থেকে শহরের প্রধান সড়ক টাউন হল এলাকায় রাস্তায় বসে অবরোধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা। ফলে প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধে প্রায় ৪ ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। ফলে শহরজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
ব্যবসায়ীরাই অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির সংঘটিত হলেও পুলিশ কোন ভূমিকা পালন করছে না। ফলে বাধ্য হয়েই ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমেছেন।

চুরি হওয়া গেজেট হবিগঞ্জ প্রতিষ্টানের স্বত্বাধিকারী আরাফাত চৌধুরী জানান, আমার দোকান এখন পর্যন্ত ৩ বার চুরি হয়েছে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান যদি ৩ বার চুরি হয়, তাহলে আর কিভাবে আমার ব্যবসায় করব। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাদের এই অবরোধ নিয়ে মশকারি করে বলেন “ওরা যখন ক্লান্ত হবে এমনিতেই রাস্তা ছেড়ে চলে যাবে”। এসব চুরি বন্ধ ও অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান তিনি।
একই দাবিতে আগামীকাল দুপুর ১২টায় বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন হবিগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ীরা।
হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর দেওয়ান জানান, এ পর্যন্ত গেজেট হবিগঞ্জ ব্যবসায় প্রতিষ্টানটি ৩ বার চুরি হয়েছে। পুলিশ কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়াতে শহর জুড়ে চুরি বেড়েছে। তিনি জানান, রোজাদার ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে আমাদের আজকের মতো অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, একই স্থানে আগামীকাল দুপুর ১২ টা থেকে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, একের পর এক ব্যবসা প্রতিষ্টানে চুরির ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক চোরদেরকে আটক করছে৷ কিন্তু তারা আবার জামিনে বের হয়ে আবার চুরি করছে৷ আমরা চুরি হওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে বলেছি থানায় অভিযোগ দিতে৷ অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো৷