নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ শহরে মাস্টার কোয়ার্টার এলাকায় মিতালী দাস মুন্না (২২) নামের এক স্কুল শিক্ষিকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। অবশেষে পুলিশের তাড়া খেয়ে লাশ আবার হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় সর্বত্র তোলপাড় চলছে। মিতালী দাস ওই এলাকার হিরেন্দ্র দাসের কন্যা ও চড়িপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। তার বাড়ি সদর উপজেলার সুখচর গ্রামে। মিতালী মাস্টার কোয়াটার এলাকায় থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রাইমারী স্কুলে চাকুরী করতেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিতালীর বাসায় হৈইচৈই শুরু হয়। মিতালী ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে রয়েছে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে লাশের সাথে থাকা আসা লোকজন প্রভাবখাটিয়ে জুড়ে লাশ মাস্টার কোয়ার্টার নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে এ খবর পুলিশের কাছে পৌছে।
সদর থানার ওসি মুহাম্মদ সহিদুর রহমানের নির্দেশে পুলিশ লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে যাবার আগেই পরিবারের লোকজন সন্ধ্যায় মিতালির লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসে।
অপর একটি সূত্র জানায়, একই এলাকার এক কৃষি অফিসারের সাথে মিতালীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। এতে মিতালী মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এমনকি তাদের মাঝে এ বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদও হতো। পুলিশকে না জানিয়ে লাশ নিয়ে যাওয়ায় এ মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। রাত ৮টায় সদর থানার এসআই অমিতাব ও পুলিশ সদস্য অনুপমা সদর হাসপাতালে গিয়ে মিতালীর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
এসআই অমিতাব জানান, মিতালীর গলায় কালো দাগের চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তেও রিপোর্ট পাওয়ার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।