বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, প্রত্যেককে যার যার কর্মস্থলে অবস্থান করে সেবা প্রদান করতে হবে। তাছাড়া হাসপাতালের নতুন ভবনের লিফট এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি নষ্ট বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি আরো বলেন, সরকার উন্নয়ন করছে সাধারণ মানুষের জন্য, তাই এসকল উন্নয়ন বা সেবা সাধারণ মানুষের জন্য ব্যয় না করে হাসপাতালে কোন ধরণের সিন্ডিকেট তৈরী করা যাবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, হাসপাতালের প্রতিটি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার নির্দেশনা প্রদান করেন, যাতে জেলা প্রশাসক হাসপাতলের সামগ্রীক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
তাছাড়া হাসপাতালের সামনে রোগী এবং সাধারণ মানুষের জন্য মতামত বক্স স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি রবিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং এ কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, সিভিল সার্জন ডাঃ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, সৈয়দ কামরুল হাসান প্রমুখ।
ট্রেচার বেয়ার খাতায় আছে কিন্তু বাস্তবে পাওয়া যায় না এবং হাসপাতাল সুপার কর্মস্থলে না থাকা এবং সিন্ডিকেট বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ সৈয়দ মুশফিক হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, সৈয়দ কামরুল হাসানসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাছাড়া শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের দূর্নীতির বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া ভুয়া ডাক্তার এবং নাম সর্বস্থ প্রাইভেট ক্লিনিক সমুহ সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করা হয়।