জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

২৮ অক্টোবরসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে – জেলা জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের নবনির্বাচিত আমীর মাওলানা মুখলিসুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি না সেটি সিদ্ধান্ত নেবে এদেশের জনগন। খুনি হাসিনাকে দেশের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। গণহত্যার দায়ে তাকে ফাঁসি দিতে হবে।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামীলীগ লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে যেভাবে মানুষ হত্যা করেছিল তার নির্দেশদাতা দলটির প্রধান শেখ হাসিনা। এই অপরাধের ধারাবাহিকতায় ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হয়। এরকম পালিয়ে যাওয়ার নজির বিশ্বে নেই।

তিনি সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সাইফুর রহমান টাউন হলে হবিগঞ্জ জেলা জামায়াত আয়োজিত রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর পল্টন দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

হবিগঞ্জ পৌর আমির আতিকুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমদ, সহকারী সেক্রেটারি চেয়ারম্যান এড. নজরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি কাজী আব্দুর রউফ বাহার, হবিগঞ্জ জেলা শিবিরের সভাপতি ছাত্রনেতা মাওলানা রবিউল হাসান এবং জেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুশ শহিদ, মাওলানা লুৎফুর রহমান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আমীর আব্দুল কুদ্দুস, লাখাই উপজেলা সভাপতি লুৎফুর রহমান, মাধবপুর উপজেলার সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হাফিজ ভূঁইয়াসহ প্রমুখ।

জামায়াতের নেতারা পালান না এমনটি উল্লেখ করে মাওলানা মুখলিসুর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ৫ আগষ্ট পালিয়ে গেলেও পল্টন হত্যাকান্ডের সময় জামায়াতের তৎকালীন আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ মঞ্চ ছাড়েননি।

জামায়াতের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের শাসনামলে জামায়াতকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। শীর্ষ পাঁচজনকে ফাঁসির নামে হত্যা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে গিয়ে তারাই নিষিদ্ধ হয়েছে।

জেলা সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমদ বলেন, খুনি হাসিনার নির্দেশে সেদিন পল্টন হত্যাকান্ড হয়েছিল। তাদের সে খুনের বিচার এতোদিন হয়নি। কিন্তু এখন সে হত্যাকান্ডের বিচারের দ্বার উম্মোচন হয়েছে।

তিনি বলেন, বার বার প্রমানিত হয়েছে যে, আওয়ামীলীগ একটি সন্ত্রাসী দল, চাঁদাবাজের দল, দখলদারদের দল, গণতন্ত্র হত্যাকারী দল। সুতরাং বাংলাদেশের জনগন আর এদেশে আওয়ামীলীগকে স্থান দেবে না।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুখলিসুর রহমান আরো বলেন, শুধু ছাত্রলীগকে নয়, গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামীলীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ এর ৫ আগষ্ট পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের হাতে যেসব হত্যাকান্ড ও গনহত্যা হয়েছে তাদের সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।