চুনারুঘাটে ৩ লাখ টাকায় দফা রফা হলো ধর্ষন মামলা। ১১ মে পৌরসভার মেয়র নাজিম উদ্দিন শামসুর মধ্যস্থতায় জনৈকা তালাকপ্রাপ্ত নারীর দায়ের করা মামলাটি আপোষ নিষ্পত্তি করা হয়।
পরকীয়া করতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে পৌর শহরের জনৈক মনোহর আলীর ভাড়াটিয়া বাসায় জনতার হাতে ধরা খান চুনারুঘাট হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মোমিন আলী। স্থানীয় যুবকরা গণধোলাই দিয়ে সেই ডাক্তারকে পৌর কমিশনার আঃ হান্নানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হবার পর সেই নারী চুনারুঘাট থানায় ডাক্তারের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
সালিশী সুত্র ও এলাকাবাসিরা জানান, হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার মোমিনের সাথে প্রবাসির তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর পরকীয়া চলছিলো। এলাকাবাসি বার কয়েক তাকে বারন করার পরও মোমিন সেই নিষেধ না মেনে ওই নারীর সাথে পরকীয়া চালিয়ে যান। ওই নারী জনৈক মনোহর আলীর ভাড়াটিয়া।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডাঃ মোমিন পৌর শহরে অবস্থিত সেই বাসায় গেলে জনৈক হাজী আওয়ালসহ এলাকাবাসি ডাক্তারকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পৌর কমিশনার আঃ হান্নান ঘটনাস্থলে এসে ডাঃ মোমিনকে তার জিম্মায় নেন।
বিগত সময়ে এক নার্সের সাথেও তার পরকীয়া ছিলো। ডাক্তার ও বিধবা নারীর প্রেম,পরকীয় ও ধর্ষন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তপ্ত হবার পর ডাক্তারের পক্ষের লোকজন মামলাটি আপোষের জন্য তদবীর শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরেরর মুসলিম হলে বসে সালিস। ওই সালিসে পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন সামসু ছাড়াও মামলার স্বাক্ষী হাজী আওয়াল, কমিশনার আঃ হান্নানসহ বহু গ্রাম্য মাতব্বর উপস্থিত ছিলেন।
মামলা আপোষের বিষয়ে স্বামী পরত্যক্তা সেই নারীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হন নি। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম বলেন, মামলাটি এখনো থানাতে রয়েছে যদিও রেকর্ডভুক্ত হয়নি।