জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লাখাইয়ে হঠাৎ জেঁকে বসেছে শীত

নতুন বছরের শুরু থেকেই কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। বেলা বাড়লেও নেই সূর্যের দেখা। শীতে কাবু করেছে দেশের বিভিন্ন জনপদ। ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রার পারদ। হিম বাতাসে শীতল সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলাসহ লাখাই উপজেলার জনজীবন।

বিভিন্ন সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা।ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডা আরও তীব্রভাবে বেড়েছে।

আবহাওয়া  অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তিন থেকে পাঁচটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়বে শীত এবং তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে।

জানুয়ারি মাসে দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে এ সময়ে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে– এ মাসে দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে দুয়েকটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে দু-তিনটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

গত দু’দিন ধরে লাখাই উপজেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অতিবাহিত হয়েছে।

এই কয়েক দিন রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে।রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে সারা দেশসহ লাখাই উপজেলার মাঝারি থেকে তীব্র শীত অনুভূত হবে। মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া এই সময়ে শুষ্ক থাকতে পারে।

হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ার ফলে গ্রামের হাট বাজারে নতুন ও পুরাতন কাপড়ের দোকানে নানা বয়সি  মানুষেরা কাপড় কিনার ভির।

কিন্তু কেন হঠাৎ করে এই শীতের প্রকোপ? আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে শীতলতম মাস। এই মাসে বেশি শীত পড়বে এটিই স্বাভাবিক। এই সময় উপমহাদেশে উচ্চ বলয় প্রবাহ ও ঊর্ধ্বাকাশে জেড উইং প্রবাহ নিচে নেমে আসে, যে কারণে শীতের প্রকোপ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি।

হঠাৎ শীত বাড়ার কারণ, এই সময়ে সাধারণত দিনের বেলায় যে তাপমাত্রা থাকে, তার চেয়ে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম তাপমাত্রা থাকছে দুই দিন ধরে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মূলত ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

অনেকেই ধারণা করছেন, এত শীত জানুয়ারির সম্ভাব্য শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব। কিন্তু আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সেটা এখনো আসেনি। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে এখনো দেরি আছে। এই মাসেই আসার আশঙ্কা প্রবল।

আরও পড়ুন;  লাখাইর ফরিদপুর-বাঘাইরা রাস্তায় কালভার্ট না থাকায় জন ভোগান্তি চরমে

শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষসহ বোরো ইরি রোপন কারি কৃষকেরা। তীব্র শীতে কৃষকেরা পড়েছে বিপাকে। গভীর রাতে শীত নিবারণে যখন সবাই লেপ-কম্বলে ওম খোঁজেন, তখন আরেক শ্রেণির মানুষের জীবনযুদ্ধ চলে খোলা আকাশের নিচে।

আমরা যখন গভীর ঘুমে মগ্ন, ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষ তখন শীতের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকেন নতুন সূর্যের অপেক্ষায়। হাড় কাঁপানো শীতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি একটু সাহায্যের আবেদন তাদের।

সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি শীতার্ত মানুষদের সহায়তায় নানা সংগঠন, ব্যক্তি ও গোষ্ঠী শীতবস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণের উদ্যোগ নেয়ার এখনই সময়।