শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ শীতের আগমন বার্তার পাশাপাশি প্রকৃতিতে আবহাওয়ার আচরণ বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে শীত আসন্ন। এরই মধ্যে বাজারে পর্যাপ্ত শীতের সবজির আমদানী হয়েছে।
বাজারে নতুন সবজি আসায় দাম একটু চড়া। তবে সপ্তাহান্তে সবজির দাম অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে ক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। শীতের নতুন সবজি বাজারে আসায় মূল্য তুলনামূলক একটু কম। তবে অন্যান্য সবজি পুর্বের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজি হিসেবে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, বরবটি, লাউ, খীরা, লালশাক, পালংশাক ইত্যাদি।
বাজারে নতুন আসা সবজিগুলো দোকানের চেহারাই বদলে দিয়েছে। মাসের ব্যবধানে বাজারে ১৫০ টাকার শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ফলে বাজারে দামী সবজির তালিকায় থাকা শিম এখন সকলের ক্রয় করার মতো মুল্যে নেমে এসেছে।
ইতিমধ্যে বাজারে আসা শীতের আগাম সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলাসহ প্রায় সব সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে টমেটো, গাজর ইত্যাদি।
বাজারভেদে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। শীতের অন্যতম আগাম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি ৬০ টাকা মুল্যে বিক্রি হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী দাউদনগর বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৫০/৬০ টাকা কেজি দরে। শীতের অন্যতম আগাম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি, বাজার ও মানভেদে ফুলকপি প্রতি কেজি ৫০/৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০/৭০ টাকা মুল্যে বিক্রি হচ্ছে।
শীতের সবজির পাশাপাশি বাজারে এসেছে শীতের শাক। বাজারভেদে পালং শাক ৫০ টাকা, লালশাক ৪০ টাকা কলমি শাক ২৫ টাকা,পুঁই শাক ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া দেখা গেছে প্রতি কেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, ভেন্ডি প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ২০ টাকা, জলপাই ৪০ টাকা, ক্ষিরা প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণহীন মসলার বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত/সমালোচিত পিঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে উঠানামা করছে। তবে রসুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও দেশি আদা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাউদনগর বাজারের সবজি ক্রেতা আব্দুল কাশেম বলেন, “অনেকদিন ধরেই বাজারে নতুন সবজির দাম উর্দ্ধমুখী ছিল। এখন বাজারে প্রচুর শীতের সবজি আসায় দাম কিছুটা কমেছে। ক্রেতাদের জন্য এটা ভালো লক্ষণ।”
আরেক সবজি বিক্রেতা হাফিজ উল্লা বলেন, “বাজারে শীত আসার আগেই শীতের সবজিতে ভরপুর। শীতের সবজি বাজারে আসার ফলে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এতে করে শীতকালিন সবজির প্রতি ক্রেতাদের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে।”
আব্দুল কাইউম নামে একজন সবজি ক্রেতা বলেন, “অনেকদিন ধরেই বাজারে সবজির দাম বাড়তি ছিল। এখন বাজারে শীতের সবজি আসার দরুন দাম কিছুটা কমছে। এটা ভালো লক্ষণ।”
সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন বলেন, “শীত আসার আগেই শীতের সবজিতে ভরে গেছে বাজার। আর শীতের সবজি বাজারে আসার ফলে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এতে করে ক্রেতাদের শীতকালীন সবজির প্রতি চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। এসময় তিনি সবজির দাম আরো কমবে বলে জানান।”