পেঁয়াজের পর এবার লবনের দাম বৃদ্ধির গুজব রটেছে হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে। এরই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় ৪ ব্যবসায়ীকে আটক করে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত রানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।জানা যায়, সোমবার সন্ধার পর থেকেই হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে গুজব রটে লবণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় গিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লবন মজুদ রাখার উদ্দেশ্যে ক্রয় করে। এসময় এনএসআই সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। পরে ৬ জনকে আটক করে। ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়াও অপর ৪ জন নিজেরদ দোষ স্বীকার করে নেয়ায় ২ জনকে কারাদন্ড ও ২ জনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। ১০ দিন করে কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হল, শহরের রাজনগর এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল কাদির নানু ও বাতিরপুর এলাকার কানাই দাসের পুত্র সুরঞ্জিত দাস। ১ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডপ্রাপ্তরা হল, চৌধুরী বাজার এলাকার রাজকুমার রায়ের পুত্র মিঠুন রায় ও নোয়াহাটি এলাকার রবিন্দ্র পালের পুত্র রঞ্জিত পাল।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত রানা জানান, লবণের দাম বৃদ্ধি হয়নি। এটা একটা গুজব। যারা এ গুজব রটাবে বা কৃত্রিম সংকট তৈরী করতে মজুদ রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সকল জনসাধারণকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতেও বলেন।এদিকে, লবণের দাম বৃদ্ধির পর প্রশাসনের অভিযানের খবর পেয়ে চৌধুরী বাজার এলাকায় শতশত উৎসুখ জনতা ভীড় জমায়।
জনপ্রিয় ৫ সংবাদ
আরো কিছু সংবাদ
এবার লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব, শহরের চৌধুরী বাজারে ৪ ব্যবসায়ীকে আটক করে অর্থ ও কারাদন্ড প্রদান

Previous article