পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এরই মাঝে বাড়তে শুরু করেছে আরো কিছু মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। এসবের মধ্যে মূল্য বাড়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে রসুন আর এলাচ। চীন থেকে আমদানি কমতে থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে আদাসহ আরো কিছু পণ্যমূল্যে। এ অবস্থায় সময় থাকতেই বিকল্প দেশ থেকে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘অস্থিতিশীলতা, সরবরাহ ও উৎপাদন- এগুলাকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, সেটা হবে ভালো সিদ্ধান্ত। কৃষি মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
এদিকে, ব্যবসায়ীরা জানান, পণ্যের সংকট নিরসনে সরকারের তরফ থেকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক মিন্টু সওদাগর বলেন, ‘শিপমেন্ট যেগুলো হয়েছিল সেগুলো আসতেছে। এ ছাড়া যেগুলো পোর্টে আছে এগুলো তো বেশি দিন চলবে না। এই পণ্যগুলো এক সপ্তাহ ১০ দিন পরে চলল, এরপর কী হবে?’
চট্টগ্রাম ব্যবসায়ী নেতা মো. ইদ্রিচ বলেন, ‘আদা আমরা অন্যান্য দেশের মধ্যে পাচ্ছি। এগুলো কোনো সমস্যা হবে না। রসুন একটু বিলম্ব হলেও আশা করি, আগামী ২০ তারিখের পরে চীনারা শিপমেন্ট দিবে। আমরা পণ্য পাব, তেমন কোনো অসুবিধা হবে না।’
উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়ায় যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো চীন। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চীনের রপ্তানি কমে যাচ্ছে। ফলে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের মতো পণ্যের সংকট সৃষ্টির আগেই বিকল্প দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ আছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কোয়ারেন্টাইন প্যাথলজিস্ট সৈয়দ মুনিরুল হক বলেন, ‘এখন থেকে আমরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যম থেকে আদা ও রসুন সংগ্রহ করতে পারি। তাহলে আগামীতে বাজারে মূল্যবৃদ্ধি পাবে না।
বাজার বিশেষজ্ঞরা জানান, এই মুহূর্তে বিকল্প রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আদার জন্য থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়া এবং রসুনের জন্য মিয়ানমার ও মিসর থেকে দ্রুত আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলে এসব পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।