যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এক সপ্তাহ আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই মুখপাত্র বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সুস্থতা অব্যাহত রাখার জন্য চেকার্সে গেছেন প্রধানমন্ত্রী।’তিনি বলেন, ‘মেডিক্যাল টিমের পরামর্শ অনুযায়ী এখনই কাজে ফিরছেন না তিনি। তাঁকে অসাধারণ দেখভাল করার জন্য সেইন্ট থমাসের সবাইকে তিনি ধন্যবাদ দিতে চান।’
গত রোববার জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরেরদিন সোমবার শারীরিক অবস্থার আবনতি হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানে তিন রাত ছিলেন তিনি। সেসময় তাঁকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। তবে তাঁর কোনো ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হয়নি।
২৭ মার্চ বরিস জনসন তাঁর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসার ঘোষণা দেন। তার মধ্যে ‘মৃদু উপসর্গ’ রয়েছে এবং ডাউনিং স্ট্রিটে আইসোলেশনে থেকেই দেশের নেতৃত্ব দেওয়া অব্যাহত রাখবেন তিনি। এ ঘোষণার ১০ দিন পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে লন্ডনের সেইন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার (১১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় (এনএইচএস) নিয়োজিত সব কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জনসন বলেন, ‘কোনো ধন্যবাদই তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। আমি তাদের কাছে আজীবন ঋণী।’৫৫ বছর বয়সী এ প্রধানমন্ত্রীর বাগদত্তা ক্যারি সাইমন্ডসও এনএইচএস এবং সেইন্ট থমাস হাসপাতালের সব কর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জনসনের সন্তানের মা হতে চলেছেন।
এদিকে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৯ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৯ হাজার ৮৭৫ জন।