মাদরাসা শিক্ষক আজিজুর রহমানকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
আহত ওই শিক্ষককে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকালে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আজিজুর রহমান একই ইউনিয়নের বেতরা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক এবং বেতরা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আজিজুর রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে আমার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কাছে অভিযোগ দেয় আমার স্ত্রী। দুপুরে গ্রাম পুলিশ আবদুল মতিন আমাকে বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে যান।
চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার সময় আমার মেয়ে এবং চাচাতো ভাই আবদুস ছামাদকে সঙ্গে নিয়ে যাই। চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার পরই লোহার রড দিয়ে আমাকে পেটাতে শুরু করেন চেয়ারম্যান। এ সময় চেয়ারম্যানের পা ধরে ক্ষমা চাইলেও আমাকে ছাড়েননি। আমার মেয়ে মাফ চাইলেও চেয়ারম্যান মারধর বন্ধ করেননি। ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামসহ অন্যরা চেয়ারম্যানকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
আহত শিক্ষক আজিজুর রহমান আরও বলেন, চেয়ারম্যানের এলোপাতাড়ি পিটুনিতে আমার পুরো শরীর জখম হয়েছে। শুক্রবার বড় ভাই একই মাদরাসার শিক্ষক ফজলুর রহমান আমাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ফজলুর রহমান বলেন, কোনো কথা না শুনে বিচারের নামে চেয়ারম্যান নির্মম নির্যাতন চালিয়ে আমার ভাইয়ের পুরো শরীর জখম করেছেন। চিকিৎসা শেষে এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেব আমরা।
শিক্ষককে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই শিক্ষকের স্ত্রীর বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি তাকে মারধর করেছি। তার স্ত্রী থানায় মামলা করলে গ্রেফতার হতেন আজিজুর। এলাকার সম্মানহানি হতো। তাই একটু মারধর করে বিষয়টি মীমাংসা করে দিলাম।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশের ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, এ ঘটনায় এখনও থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।