করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে হবিগঞ্জ প্রশাসন যখন প্রতিটি বাজার সাময়িক স্থানান্তরিত করছেন, ঠিক তখনই এর উল্টো চিত্র হবিগঞ্জের শায়েস্তানগর বাজার নিয়ে। প্রথমে হবিগঞ্জ প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওয়া হলো শায়েস্তানগর বাজার যাবে হবিগঞ্জের কেন্দ্রীয় ইদগাহ মাঠে।
এই নির্দেশ অনুযায়ী মাছ বাজার সহ ইদগাহতে গেলে নানা মহল থেকে এর নিন্দা শুরু হয়। কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন যে, ইদগাহ এর মত একটি পবিত্র স্থানে বাজারের মতো নিকৃষ্ট স্থান মেনে নেওয়া যায় না।
পরে স্থানীয় মুরব্বিদের পরামর্শে হবিগঞ্জ ৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপির নির্দেশে ইদগাহ থেকে বাজার পূনরায় স্থানান্তরিত করা হয়। পরের দিন মাছের খুচরা পাইকারি বিক্রেতাদের কে রাস্তায় তথা বাজারের আশেপাশে বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু আজকে প্রথমে মাছ বাজারের পাইকারি আরদদের কে আনোয়ারপুর বাইপাসের মাঠে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার তাদের কে স্টেন্ডে পাঠানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরদদার ‘হবিগঞ্জ নিউজ’ কে বলেন, “আমাদের কে প্রহার করা হয়েছে। একই ভাবে মানসিক অত্যাচার ও করাহয়েছে।”
তবে যারা খুচরা বিক্রেতা ছিলো তারা পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে মাছ কিনে শায়েস্তানগর বাজারে বিক্রি করেছেন।
পরে আজ ১২ ঘটিকায় শায়েস্তানগর বাজার কমিটিকে নিয়ে প্রশাসনের মিটিং ছিলো স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে। এতে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ উম্মেদ আলী শামিম।
মিটিংয়ের শেষে শায়েস্তানগর বাজারের সব বিক্রেতাদের কে বলা হয় সামাজিক দুরত্ব বজায়ের জন্য বাজারের রাস্তায় তথা মূল পয়েন্টে বিক্রি করার জন্য। কিন্তু এই প্রস্তাবে তারা রাজি হয়নি। তাই শায়েস্তানগর বাজার ১২ দিনের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর যারা এই নির্দেশ অমান্য করে দোকান খুলবে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।
এই ব্যাপারে শায়েস্তানগর সবজি বাজারের বশে কিছু বিক্রেতা ‘হবিগঞ্জ নিউজ’ কে বলেন, “গরমে বাজারের ছায়ার মধ্যে থেকেও সবজি বিক্রি করা কষ্ট এবং সবজি নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তার মধ্যে সবজি বিক্রি করা মোটেও সম্ভব হবে না। তাদের অনেক ক্ষতি হবে। আর এই ব্যাপারে প্রশাসন না কি বাড়াবাড়ি করছে তাদের সাথে।”
তারা আরো বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে শায়েস্তানগর বাজার সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা প্রতিটি দোকানে রং দিয়ে ঘর সাজিয়ে রেখেছে যাতে করে প্রতিটি ক্রেতা সাড়ি বদ্ধ ভাবে ক্রয় করতে পারেন। প্রশাসনের কথা মতো বাজারের এক দোকান থেকে অন্য দোকানের দূরত্ব ও বজায় রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের এইরকম আচরণে তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছে।