হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান গতকাল (০৫ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবরে বার্তা প্রেরন করেছেন।
জানা যায় ৫ মে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা দুর্যোগ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৭ ইউপি চেয়ারম্যান সহ সদস্যবৃ্ন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এক পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রীর বরাদ্দ ও বিতরণ নিয়ে
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান কথা
বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদারের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হলে সভাস্থল উত্যপ্ত হয়ে উঠে। ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম, হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু,সাইফুদ্দিন লিয়াকত পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সভাস্থল ত্যাগ করেন।
বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে এক বার্তা প্রেরন করেন। বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন করোনা পরিস্থিতিতে বাহুবল উপজেলার মানুষ বিপর্যস্হ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাণ সামগ্রী সহ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৮৯ মেঃ টন চাল ও অর্থ বরাদ্দ এসেছে।
কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পিআইও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিতরণ করছেন। ফলে সুবিধা ভোগীরা ত্রাণ না পেয়ে সারা উপজেলায় হাহাকার চলছে।
তিনি দ্রুত উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রত্যাহার করে বিষয়টি তদন্ত পুর্বক সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখার দাবি করেন।