করোনা ভাইরাসের এই মহামারিতে পুরো বিশ্বের ন্যায় সারা বাংলাদেশ যেখানে এক আতঙ্ককর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে ঠিক সেই সময় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং নদীতে দুরন্তপনায় ব্যস্ত স্থানীয় কিশোররা। নদীর সেই আগের রূপ নেই বললেই চলে। ইদানিং মুষলধারে বৃষ্টি হলেও পানিতে নেই জোয়ার। রোদ আর বৃষ্টির মায়াজালের খেলায় কিশোররা মেতে উঠেছে। ‘হেইও হেইও, দে পাল আরো জোরে’ বলেই ১৫-২০ জন ১০-১২ বছরের কিশোররা মিলে নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছে, ডুব দিয়ে সাঁতার কাটছে। চলছে তাদের মাঝে সাঁতার কাটার প্রতিযোগিতাও।
এদের কেউ কেউ আবার ডুব দিয়ে মাছ ধরাতেও পারদর্শী। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চানপুর গ্রামের কিশোরদের বাড়ির সাথেই নদী থাকায় তারা সাঁতার কেটে অভ্যস্ত।
টানা ১-২ ঘন্টা নদীতে ঝাঁপালেও রোগ-বালাই তাদের কাছে ঘেঁষে না বললেই চলে। এমনই চিত্র দেখা যায় প্রতিদিন ভরদুপুরে সুতাং নদীতে।
করোনার পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় সারাদিন খামখেয়ালি আর দুরন্তপনায় তাদের দিন কাটছে। সুতাং নদীর ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে আবার অনেকেই অপলক দৃষ্টিতে তাদের সাঁতার কাটা দেখেন।
এমন অবস্থায় স্থানীয় কয়েকজন সচেতন নাগরিক অভিযোগ করেছেন, তাদের (কিশোরদের) কোন কথা বললেও তারা শুনতে চায় না। উলটো আরও বেয়াদবি করে। তাই তাদের অভিবাকদের কাছে নালিশ করা হয়েছিল। কিন্তু নেই কোন পরিবর্তন। তারা সেই আগের মতই নদীতে ঝাঁপাচ্ছে এবং সাঁতার কাটছে।