জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বৃন্দাবন সরকারি কলেজের পাঁচ শিক্ষকের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি

হবিগঞ্জ জেলার সর্বোচ্ছ বিদ্যাপিঠ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের পাচ শিক্ষক অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েব সাইটে সারাদেশে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির নোটিস দেয়া হয়।

প্রকাশিত নোটিসে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের চার বিভাগের ৫ জন শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২ জন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২ জন, দর্শন বিভাগের ১ জন ও বাংলা বিভাগের ১ জন কে পদোন্নতি দেয়া হয়।

অধাপক পদে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকগন হলেনঃ
১. অধ্যাপক মোঃ ইলিয়াস বখত চৌধুরি, বিভাগীয় প্রধান, ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
২. অধ্যাপক মো আব্দুল হাকিম, বিভাগীয় প্রধান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ।
৩. অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম মল্লিক, বিভাগীয় প্রধান, দর্শন বিভাগ।
৪. অধ্যাপক মোঃ মকুব আলী, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ।
৫. অধ্যাপক পান্না বসু, বাংলা বিভাগ।

অধাপক পদে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকগনের পরিচয়ঃ

১. অধ্যাপক মোঃ ইলিয়াস বখত চৌধুরি। তিনি ২০০২ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে আছেন। বর্তমানে তিনি ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে পালন করছেন।

ইলিয়াস বখত চৌধুরি ১৪ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন। বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাড়াও তিনি নেত্রকোনা সরকারি কলেজ ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক-মো-আব্দুল-হাকিম
অধ্যাপক মো আব্দুল হাকিম

২. অধ্যাপক মো আব্দুল হাকিম। তিনি ২০১৩ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বৃন্দাবন সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে পালন করছেন।

অধ্যাপক মো আব্দুল হাকিম ১৪ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাড়াও তিনি জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ এবং আকবর আলী সরকারি কলেজে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক-মোঃ-রফিকুল-ইসলাম-মল্লিক
অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম মল্লিক

৩. অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম মল্লিক। তিনি ২০১৭ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বৃন্দাবন সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে পালন করছেন।

অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম মল্লিক ১৪ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাড়াও তিনি গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, নেত্রকোনা সরকারি কলেজ, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ এবং বিয়ানিবাজার সরকারি কলেজে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৪. অধ্যাপক মোঃ মকুব আলী। ১৪ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাওশি সংযুক্ত বৃন্দাবন সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে পালন করছেন।

অধ্যাপক মোঃ মকুব আলী বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাড়াও নাজিম উদ্দিন সরকারি কলেজ, মাদারীপুর সরকারি কলেজে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৫. অধ্যাপক পান্না বসু। তিনি ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বৃন্দাবন সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে দায়িত্বে পালন করছেন।

অধ্যাপক পান্না বসু ১৬ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে এমসি কলেজের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাড়াও তিনি এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি কলেজে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক পান্না বসুর স্বামী অধ্যাপক ডাক্তার সব্য সাচী। তিনি পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সিলেটের এনেসথেসিয়া ও আইসিইউ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের একমাত্র মেয়ে কানাডায় নিউরোসাইন্স নিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছেন।

এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার আরেক কৃতি সন্তান অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি বৃন্দাবন কলেজের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মোঃ হারুন মিয়া। তার গ্রামের বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার পইলা খান্দি ইউনিয়নের বিজয়পুরে। তার বর্তমান বাসা শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোডে অবস্থিত।

অধ্যাপক মোঃ হারুন মিয়া ১৪ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে পালন করছেন।

অধ্যাপক মোঃ হারুন মিয়া বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাড়াও মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ, চুনারুঘাট সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং বিয়ানিবাজার সরকারি কলেজে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরি হবিগঞ্জ নিউজকে বলেন, “অনেক দিন পর এই পদোন্নতি এসেছে। আমার কলেজের ৫ জন শিক্ষক পদোন্নতি পেয়েছেন। এজন্য বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই পদোন্নতিতে কলেজের শিক্ষার মান আরো বৃদ্ধিপাবে বলে আশাকরি।”

উল্লেখ্য প্রকাশিত নোটিসে সমগ্র দেশের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের ৪৪ জন, আরবিতে ৫ জন, উসলাম শিক্ষায় ১৭ জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ৩ জন, ইংরেজিতে ৪৩ জন ইতিহাসে ৪৫ জন, উদ্ভিদবিদ্যায় ৪৬ জন, গণিতে ৩৪ জন, দর্শনে ৫০ জন, পদার্থবিদ্যা ২৯ জন,পরিংখ্যানে ১ জন, প্রাণিবিদ্যায় ৩৬ জন, বাংলায় ২১ জন, ব্যবস্থাপনায় ৩৯ জন, ভূগোলে ৪ জন, মৃত্তিকাবিজ্ঞানে ১ জন, মনোবিজ্ঞানে ৩ জন, রসায়নে ২২ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৪৬ জন, সমাজকল্যানে ১৬ জন, সমাজবিজ্ঞানে ৬ জন, সংস্কৃতে ১ জন, হিসাববিজ্ঞানে ৩৩ জনে এবং শিক্ষা বিভাগে  ৫ জন সহ মোট ৫৫০ জন কে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।